মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF - Rivers, Glaciers and Wind Work Question Answers

মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF: প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় মাধ্যমিক ভূগোল Rivers, Glaciers and Wind Work Question Answers PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF

মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF - Rivers, Glaciers and Wind Work Question Answers

নিচে মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF টি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে এই পোস্টটির নীচে যান এবং ডাউনলোড করুন।


মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF - Rivers, Glaciers and Wind Work Question Answers


মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF

Dear Students, Gksolves.com চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা, আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF. প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি চাকরির যেমন Railway Group D | PSC Clerkship | WBCS | SSC CHSL | SSC CGL | SSC MTS | WBP Abgari Constable | WBP SI | WBP Constable | ICDS Supervisor | Railway Group D | RRB NTPC | PSC Miscellaneous | TET  | Upper Primary  | Group D ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকে। এই সমস্ত চাকরির পরীক্ষা ছাড়াও মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সম্বন্ধে আপনার সাধারণ ধারণা থাকা দরকার, তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF যা আপনাদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কে ধারণা গঠন করতে বিশেষ সাহায্য করবে। 



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF - Rivers, Glaciers and Wind Work Question Answers


1. প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য কাকে বলে?

উঃ সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত প্রভৃতিকে প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য বলে।


2. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কী?

উঃ সে সকল প্রক্রিয়া ভূমিরূপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে তাদের ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে।


3. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কয় প্রকার ও কী কী?

উঃ দুই প্রকার। যথা- পার্থিব প্রক্রিয়া ও মহাজাগতিক প্রক্রিয়া।


4. পার্থিব প্রক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ ভূ-অভ্যন্তরে ও ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে যেসকল প্রক্রিয়া ভূমিরূপ গঠনে সক্রিয় তাদের পার্থিব প্রক্রিয়া বলে। যথা- ভূমিকম্প, নদীর কার্য ইত্যাদি।


5. মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

উঃ উল্কা পতন, জ্যোতিষ্কের টুকরো প্রভৃতি মহাজাগতিক বস্তু দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটলে তাকে মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলে।


6. বহির্জাত প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ যে সকল প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের প্রাথমিক ভূমিরূপের পরিবর্তন ও বিবর্তন ঘটায় তাদের বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।


7. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তি বলতে কী বোঝ?

উঃ বহির্জাত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রাকৃতিক শক্তিগুলিকে বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তি বলে।


8. বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

১) ভূ-পৃষ্ঠ এবং উপপৃষ্ঠীয় অংশে এই প্রক্রিয়া কাজ করে।

২) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া।

৩) জলবায়ু ও শিলার গঠনের তারতম্যের জন্য পৃথিবীর এক এক অঞ্চলে এক একটি শক্তি বেশি সক্রিয় থাকে, যেমন মরু অঞ্চলে বায়ুশক্তি ও মেরু অঞ্চলে হিমবাহ শক্তি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

৪) আর্দ্র অঞ্চলে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নদী শক্তি।

৫) অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাধিক শক্তি ভূমিরূপ গঠনে সক্রিয় থাকে।


9. অবরোহণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ যে সকল প্রক্রিয়া নগ্নীভবন এবং ক্ষয়ীভবনের দ্বারা ভূমির উচ্চতা হ্রাস করে তাকে অবরোহণ বলে।


10. পুঞ্জিত স্খলন কী?

উঃ আবহবিকারের দ্বারা সৃষ্ট শিলাখণ্ড ও আলগা মাটি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নামে। অভিকর্ষটানের ফলে এটা ঘটে। একে পুঞ্জিত স্খলন বলে।


11. ক্ষয়ীভবন কাকে বলে?

উঃ চূর্ণ-বিচূর্ণ শিলা ও মাটি অন্যত্র অপসারিত হলে তাকে ক্ষয়ীভবন বলে।


12. নগ্নীভবন কাকে বলে?

উঃ পুঞ্জিত স্খলন ও ক্ষয়ীভবন এই দুই প্রক্রিয়ার ফলে নীচের মূল শিলা নগ্ন বা উন্মুক্ত হলে তাকে নগ্নীভবন বলে।


13. অবরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

উঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ।


14. অবরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি উল্লেখ করো।

উঃ অবরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি হল-

১) নানা ধরণের ক্ষয়জাত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।

২) পাহাড়ের ক্ষয়িষ্ণু ঢাল ক্রমশ পিছনদিকে সরে যায়। একে ঢালের পশ্চাৎ-অপসারণ বলে।

৩) উত্তল এবং অবতল ঢাল সৃষ্টি হয়।


15. আরোহণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ যে প্রক্রিয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সঞ্চিত হয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি করে তাকে আরোহণ বলে।


16. আরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

উঃ নদী, হিমবাহ ও বায়ু।


17. আরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি লেখো।

উঃ আরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি হল-

১) ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

২) ভূমির ঢালের সমতা বৃদ্ধি পায়।

৩) নদী মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়।

৪) বায়ুর দ্বারা বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়।


18. পর্যায়ন প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়া দুটিকে একত্রে পর্যায়ন বলে।


19. জলচক্র কাকে বলে?

উঃ নদী-সাগর থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে যায়। সেখআনে ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় মেঘ সৃষ্টি হয়। মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জল ভুপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদী-নালা হয়ে পুনরায় সাগরে মিলিত হয়। জলের এই চক্রাকার আবর্তনকে জলচক্র বলে।


20. জলচক্র কয়টি পর্যায়ে ঘটে? কী কী?

উঃ চারটি পর্যায়ে ঘটে। যথা-

১) বাষ্পীভবন

২) ঘনীভবন

৩) অধঃক্ষেপণ

৪) পৃষ্ঠপ্রবাহ


21. নদী অববাহিকা কাকে বলে?

উঃ যে বিস্তৃত অঞ্চলের জল একটি নদীখাতে প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে।


22. নদীর জলচক্র কাকে বলে?

উঃ একটি নির্দিষ্ট নদী অববাহিকা অঞ্চলে যে জলচক্র সক্রিয় থাকে তাকে নদীর জলচক্র বলে।


23. জলবিভাজিকা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ দুটি নদীর অববাহিকার মধ্যবর্তী উঁচুভূমিকে জলবিভাজিকা বলে। নর্মদা ও শোন জলবিভাজিকা জল অমরকণ্টক।


24. জলবিভাজিকার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ জলবিভাজিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১) উঁচু পাহাড় বা শৈলশিরা জলবিভাজিকার কাজ করে।

২) নদীর উচ্চগতিতে এটা দেখা যায়।

৩) জলবিভাজিকা অঞ্চলে নদী উপত্যকা সঙ্কীর্ণ হয়।

৪) অধিকাংশ ক্ষেত্রে জলবিভাজিকা অঞ্চলে প্রথম পর্যায়ে ছোটো ছোটো নদী সৃষ্টি হয়।


25. আদর্শ নদী কাকে বলে?

উঃ যে নদীর প্রবাহে উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি এই তিনটি গতিই দেখা যায় তাকে আদর্শ নদী বলে। যেমন – গঙ্গা নদী।


26. আদর্শ নদীর কয়টি গতি? কী কী?

উঃ তিনটি গতি। যথা - উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি।


27. নদীর উচ্চগতি কাকে বলে?

উঃ উৎস থেকে পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর গতিপথকে উচ্চগতি বলে।


28. গঙ্গা নদীর উচ্চগতি কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত?

উঃ গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত (২৩০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।


29. উচ্চগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ উচ্চগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১) উচ্চগতি পার্বত্য অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।

২) এখানে নদী উপত্যকার বিস্তার কম হয় কিন্তু পার্শ্বদেশ খাড়া ও ইংরাজি ‘V’ আকৃতির হয়।

৩) গভীর গিরিখাত ও জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

৪) নদীর জলের উৎস হল বৃষ্টির জল ও বরফগলা জল।

৫) প্রধান কাজ হল ক্ষয়।


30. নদীর মধ্যগতি কাকে বলে?

উঃ পর্বতের পাদদেশ থেকে সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত গতিপথকে মধ্যগতি বলে।


31. গঙ্গা নদীর মধ্যগতি কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত?

উঃ হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের ধূলিয়ান (১৭০০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।


32. নদীর মধ্যগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ নদীর মধ্যগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১) এই গতিপথে ক্ষয় ও বহন কার্য সক্রিয়।

২) নদী উপত্যকা ক্রমশ প্রশস্ত হয়।

৩) মিয়েণ্ডার ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয়।

৪) নদী উপত্যকা কিছুটা ‘U’ আকৃতির হয়।


33. নিম্নগতির অপর নাম কী?

উঃ বদ্বীপ প্রবাহ।


34. গঙ্গা নদীর নিম্নগতি তোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত?

উঃ ধূলিয়ান থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা (৬০০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।


35. নদীর কয়টি কাজ ও কী কী?

উঃ তিনটি কাজ। যথা – ক্ষয়কার্য, বহন কার্য ও সঞ্চয়কার্য।


36. নদীর ক্ষয়কার্য কোন গতিতে সম্পন্ন হয়?

উঃ উচ্চগতিতে।


37. নদীর ক্ষয়কার্য কয়টি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়?

উঃ পাঁচটি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। যথা-

  • জলপ্রবাহ ক্ষয়
  • অবঘর্ষ (Abrasion)
  • ঘর্ষণ (Attrition)
  • দ্রবণ (Solution)
  • বুদবুদ জনিত ক্ষয় (Bubble Erosion or Cavitation)


38. জলপ্রবাহ ক্ষয় কাকে বলে?

উঃ নদীর জলের স্রোতের আঘাতে নদীর দু’পাশের অপেক্ষাকৃত কোমল ও আলগা শিলাখন্ডগুলি স্থানচ্যুত হয়ে জলপ্রবাহের সঙ্গে এগিয়ে চলে। একেই স্বাভাবিক ক্ষয়সাধন বা জলপ্রবাহ জনিত ক্ষয় বলে।


39. অবঘর্ষ কাকে বলে?

উঃ নদীর জলের সাথে বহমান শিলাখণ্ড সমূহ নদীগর্ভে ও পার্শ্বদেশের সাথে ঘর্ষণজনিত ক্রিয়ায় ক্ষয় করে। এই প্রক্রিয়ায় নাম অবঘর্ষ।


40. ঘর্ষণ ক্ষয় বা সংঘাত ক্ষয় কাকে বলে?

উঃ নদীর জলপ্রবাহের সাথে চলমান বড়ো বড়ো শিলাখণ্ড বা বোল্ডার পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড ও বালুকণায় পরিণত হয়। একে ঘর্ষণ ক্ষয় বা সংঘাত ক্ষয় বলে।


41. দ্রবণ ক্ষয় কাকে বলে?

উঃ নদীর জল দ্রবণযোগ্য শিলার (চুনাপাথর) উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শিলার দ্রুত ক্ষয় সাধন করে। একে দ্রবণ ক্ষয় বলে।


42. বুদবুদ জনিত ক্ষয় বলতে কী বোঝ?

উঃ নদীর জলস্রোতের মধ্যে সৃষ্ট বুদবুদ জলের চাপে সঙ্কুচিত হয়ে কোনো ফাটলের মধ্যে আটকে পড়লে বুদবুদটি ফাটার সময় তার মধ্যেকার বাতাসের চাপে নদীগর্ভের শিলাস্তর বা প্রস্তরখন্ড চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এ জাতীয় ক্ষয়কার্যকে বুদবুদ জনিত ক্ষয় বলে।


43. ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র কী?

উঃ কোনো কারণে নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে, নদীর বহন ক্ষমতা ৬৪ (২৬) গুণ বৃদ্ধি পায়, একে ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে।


44. নদীর মধ্যগতির প্রধান কাজ কী?

উঃ বহনকার্য।


45. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় তার বহনকার্য সম্পন্ন করে?

উঃ নদী চার ভাবে তার বহনকার্য সম্পন্ন করে । যথা–

  • দ্রবণ পরিবহন (Sloution)
  • ভাসমান প্রক্রিয়ায় বহন (Suspension)
  • লম্ফদান প্রক্রিয়ায় বহন (Saltation)
  • আকর্ষণ-এর মাধ্যমে বহন (Traction)


46. দ্রবণ পরিবহন বলতে কী বোঝ?

উঃ নানা ধরনের খনিজ লবণ, চুনাপাথর বৃষ্টির জল ও নদীর জলে দ্রবীভূত হয়ে যায়। এইসব পদার্থ নদীখাতে অবস্থান করলে নদীর জলের সঙ্গে মিশে পরিবাহিত হয়। একে দ্রবণ পরিবহন বলে।


47. ভাসমান অবস্থায় বহন বলতে কী বোঝ?

উঃ নুড়ি, বালি, কাদামাটি প্রভৃতি ছোট ছোট শিলাকণা নদীর বোঝারূপে নদীর স্রোতের সঙ্গে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে ভেসে যায়। একেই ভাসমান অবস্থায় বহন বলে।


48. লম্ফদান প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ বড়ো বড়ো নুড়ি ও পাথর নদীর তলদেশে ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে অন্যত্র পরিবাহিত হলে একে লম্ফদান প্রক্রিয়া বলে।


49. আকর্ষণের মাধ্যমে বহন বলতে কী বোঝ?

উঃ নদীর ঢাল বাড়লে নদীর গতিবেগ বাড়ে। কাজেই নদীর প্রবল স্রোতের টানে বড় বড় শিলাখন্ড নদীর তলদেশ দিয়ে গড়াতে গড়াতে এগিয়ে চলে। একেই টান বা আকর্ষণ প্রক্রিয়ায় বহন বলে।


50. নদীর কোন গতিতে সঞ্চয়কার্য সম্পন্ন হয়?

উঃ নিম্নগতিতে।


51. নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখো।

উঃ ইংরাজি ‘V’ ও ‘I’ আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত, শৃঙ্খলিত শৈলশিরা, মন্থকূপ বা পটহোল, জলপ্রপাত ইত্যাদি।


52. গিরিখাত কাকে বলে?

উঃ নিম্নক্ষয় অত্যন্ত গভীর হলে নদী উপত্যকাও অতি গভীর হয়। এইরূপ উপত্যকার দুপাশে কখনও খাড়া প্রাচীরের মতো পাহাড় থাকে। অতি গভীর ও সংকীর্ণ এই উপত্যকাকে গিরিখাত বলে।


53. অতি গভীর ও সংকীর্ণ গিরিখাতের নাম কী?

উঃ ক্যানিয়ন।


54. ক্যানিয়ন কী?

উঃ শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে উপত্যকার পার্শ্বক্ষয় হয় না। অত্যধিক নিম্নক্ষয়ের ফলে উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ হয়। শুষ্ক অঞ্চলের অতি গভীর ও সংকীর্ণ গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলে।


55. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত বা ক্যানিয়ন কোনটি? এর গভীরতা কত?

উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন। প্রায় ১৬০০ মিটার।


56. পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত কোনটি? এর গভীরতা কত?

উঃ পেরু দেশের এল-কানন-দ্য কলকা। এর গভীরতা ৩২২৩ মিটার।


57. শৃঙ্খলিত বা আবদ্ধ শৈলশিরা কাকে বলে?

উঃ পার্বত্য প্রবাহে নদীর পথে শৈলশিরা বা পাহাড় থাকলে বাধার সৃষ্টি করে। তখন নদী ওই কঠিন শিলার পাহাড়কে ক্ষয় করতে না পেরে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। অনেকদূর থেকে দেখলে মনে হয় ওই শৈলশিরাগুলির প্রান্তদেশে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ আছে।একে শৃঙ্খলিত বা আবদ্ধ শৈলশিরা বলে।


58. জলপ্রপাত কাকে বলে?

উঃ পার্বত্য গতিপথে ভূমির ঢাল অত্যন্ত খাড়া হলে নদীর জল উঁচু অংশ থেকে খাড়া ঢাল বরাবর অনেক নীচে পতিত হলে তাকে জলপ্রপাত বলে।


59. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কী?

উঃ ভেনিজুয়েলার কারাও নদীর শাখাপথে অবস্থিত সাল্টো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত।


60. ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত কোনটি?

উঃ কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত সরাবতী নদীর গেরসোপ্পা বা যোগ জলপ্রপাত।


61. পৃথিবীর সবচেয়ে মনোরম জলপ্রপাত কোনটি? এটি কোথায় অবস্থিত?

উঃ নায়াগ্রা জলপ্রপাত। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।


62. নিক বিন্দু কী?

উঃ নদীর পুরানো মৃদু ঢালের যে বিন্দু থেকে নতুন খাড়া ঢাল শুরু হয়, তাকে নিক বিন্দু বলে।


63. খরস্রোত কাকে বলে?

উঃ বেশি ঢাল বিশিষ্ট জলপ্রপাতকে খরস্রোত বলে।


64. কাসকেড কী?

উঃ ধাপে ধাপে নেমে আসা জলপ্রপাতের নাম কাসকেড।


65. ক্যাটার‍্যাক্ট কী?

উঃ বিপুল পরিমাণ জলবিশিষ্ট জলপ্রপাত ক্যাটারাক্ট নামে পরিচিত।


66. মন্থকূপ কাকে বলে?

উঃ জলপ্রপাতের পাদদেশে নদীর জল অনেক সময় ঘূরপাক খেয়ে আবর্তিত হতে থাকে। ফলে জলের মধ্যস্থিত শিলাখণ্ডের ঘর্ষণে নদীগর্ভে গোলাকার গর্ত সৃষ্টি হয়। একে মন্থকূপ বলে।


67. প্রপাতকূপ কাকে বলে?

উঃ জলপ্রপাতের জলের সঙ্গে পতিত বড়ো শিলাখণ্ডের আঘাতে সৃষ্ট বিশালাকার হাঁড়ির মতো গর্তের নাম প্রপাতকূপ।


68. গাঠনিক শিলাধাপ কী?

উঃ কঠিন ও কোমল শিলা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে, বৈষম্যমূলক ক্ষয়কার্যের ফলে নদী উপত্যকার পার্শ্বদেশে বিভিন্ন ধাপের সৃষ্টি হয়। একে গাঠনিক শিলাধাপ বলে।


69. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় সঞ্চয়কাজ করে?

উঃ দুই ভাবে, যথা-আসঞ্জন ও অনুলেপন।


70. সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপগুলির নাম লেখো।

উঃ সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপগুলি হল – পলল ব্যজনী, প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, বালুচর, মিয়েণ্ডার, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, ব-দ্বীপ ইত্যাদি।


71. পলল শঙ্কু কাকে বলে?

উঃ পার্বত্য অঞ্চল থেকে নদী সমভূমিতে প্রবেশ করলে ভূমির ঢাল হঠাৎ খুব কমে যায়। তখন নদীর বহন ক্ষমতা থাকে না। ফলে নদীবাহিত পদার্থের সঞ্চয় শুরু হয়। পর্বতের পাদদেশে নুড়ি, বালি, পলি, কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তাকে পলল শঙ্কু বলে।


72. পলল ব্যজনী কাকে বলে?

উঃ পলল শঙ্কুর উপর দিয়ে নদীর প্রবাহ বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত হলে পলল শঙ্কু অর্ধ গোলাকার রূপ নেয়। একে পলল ব্যজনী বলে।


73. পলল পাখা কাকে বলে?

উঃ হাত পাখার মতো দেখতে পলল ব্যজনীকে পলল পাখা বলে।


74. মিয়েন্ডার কী?

উঃ সমভূমিতে নদীর বেগ অত্যন্ত কম থাকে বলে বাধা পেলেই নদী এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। বাঁকের যে অংশে জলস্রোত ধাক্কা খায় সেখানে ক্ষয় হয় এবং বিপরীত অংশে বাঁকের ভিতরের দিকে পলল সঞ্চিত হয়। একে পয়েণ্টবার বা বিন্দুবার বলে। বিন্দুবার ক্রমশ প্রসারিত হয়। এইভাবে ক্রমশ নদীতে অনেক বাঁকের সৃষ্টি হয় একে মিয়েণ্ডার বলে।


75. নদীচর বা চরা কাকে বলে?

উঃ বহন ক্ষমতা না থাকলে নদীবাহিত পদার্থসমূহ নদীগর্ভে সঞ্চিত হয়ে যে চড়ার সৃষ্টি করে তাকে নদীচর বা চরা বলে।


76. ভারতের বৃহত্তম নদীদ্বীপ কোনটি?

উঃ ব্রহ্মপুত্র নদের মাজুলী দ্বীপ।


77. বিনুনি নদীপ্রবাহ কাকে বলে? এটি কোথায় দেখা যায়?

উঃ নদীগর্ভে অনেক চর ও দ্বীপ সৃষ্টি হলে নদীর প্রবাহ বহু শাখায় বিভক্ত হয়ে এঁকে বেঁকে চলে এবং বিনুনীর আকার ধারণ করে। এরূপ প্রবাহকে বিনুনী প্রবাহ বলে। তিস্তা নদীতে এই প্রবাহ দেখা যায়।


78. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে? এটি কোথায় দেখা যায়?

উঃ একটি নদীখাতের দুটি সন্নিহিত বাঁকের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ অংশ পার্শ্বক্ষয়ের ফলে কখনও কখনও যুক্ত হয়। তখন নদী সোজা প্রবাহিত হয়। তখন পরিত্যক্ত বাঁকটি হ্রদের মতো অবস্থান করে। এদের অশ্বের ক্ষুরের মতো দেখতে বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে। গাঙ্গেয় সমভূমিতে এই হ্রদ দেখা যায়।


79. ব-দ্বীপ কাকে বলে?

উঃ নিম্নগতির শেষ পর্যায়ে নদী যেখানে সাগর বা হ্রদের সঙ্গে মিলিত হয় সেখানে নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হয়। এই সঞ্চিত পলির আকার মাত্রাহীন বাংলা ‘ব’ অক্ষর এর মতো হয় বলে একে বদ্বীপ বলে।


80. পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ কোনটি?

উঃ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদীর মিলিত বদ্বীপ।


81. খাঁড়ি কী?

উঃ বদ্বীপ সমভূমি অঞ্চলের কোথাও কোথাও সংকীর্ণ নদীর মতো গভীর নালা দেখা যায়। এগুলি সমুদ্রের জলের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। জোয়ারের সময় এই নালাগুলি জলে ভরে যায়। সুন্দরবন অঞ্চলে এইরূপ নালাকে খাঁড়ি বলে।


82. ব-দ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশগুলি উল্লেখ করো।

উঃ ব-দ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশগুলি হল –

১) মোহনায় নদীর মৃদুঢাল সমুদ্রের সাথে মিশতে হবে।

২) সমুদ্র জলে লবণতার আধিক্য থাকলে দ্রুতহারে পলি অধঃক্ষিপ্ত হবে।

৩) মধ্য ও নিম্নগতির দৈর্ঘ্য বেশি হলে পলির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

৪) ধারণ অববাহিকায় ক্ষয় বেশি হলে পলির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

৫) মোহনায় জোয়ার ভাঁটার তীব্রতা কম হতে হবে।


83. প্রকৃতি অনুযায়ী ব-দ্বীপ কয় প্রকার ও কী কী?

উঃ চার প্রকার। যথা –

১) ত্রিকোণাকৃতি

২) হুকাকৃতি

৩) পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ

৪) ধনুকাকৃতি বদ্বীপ।


84. কোন নদীর ব-দ্বীপের আকৃতি বাল্গলার মাত্রাহীন ‘ব’ অক্ষরের মতো?

উঃ গঙ্গা নদীর ব-দ্বীপ।


85. হুকাকৃতি ব-দ্বীপ কোথায় দেখা যায়?

উঃ নীল নদের ব-দ্বীপ।


86. পাখির পায়ের মত ব-দ্বীপ কোথায় দেখা যায়?

উঃ মিসিসিপি নদীর ব-দ্বীপ।


87. ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ যে সকল ব-দ্বীপের সমুদ্রমুখী রেখা সমুদ্রের দিকে ধনুকের মতো বেঁকে থাকে, তাদের ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপ বলে। যেমন- সিন্ধু, গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনা, নীল, হোয়াংহো, পো, রাইন প্রভৃতি নদীর ব-দ্বীপ।


88. কোন নদীর ব-দ্বীপের আকৃতি করাতের দাঁতের মতো?

উঃ স্পেনের এব্রো নদীর ব-দ্বীপ, ইতালির তাইবার নদীর ব-দ্বীপ। এই ধরনের ব-দ্বীপকে তীক্ষ্ণাগ্র ব-দ্বীপ বা Cuspate ব-দ্বীপ ও বলা হয়।


89. কোন নদীর ব-দ্বীপের আকৃতি খাঁড়ির মতো?

উঃ নেদারল্যান্ড-এর রাইন নদীর ব-দ্বীপ।


90. সব নদীর মোহনায় ব-দ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন?

উঃ নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য সব নদীর মোহনায় ব-দ্বীপ গড়ে ওঠে না, যেমন-

(১) নদীর মোহনায় যদি ভূমির ঢাল বেশি হয় তবে সেক্ষেত্রে দ্বীপ সৃষ্টি হয় না।

(২) নদীর মোহনায় জোয়ার-ভাটার প্রকোপ যদি বেশি হয়।

(৩) যদি নদীর মোহনায় নীচের শিলাস্তর কঠিন হয় তবে সেখানে নদী বাহিত পদার্থ জমতে না পারায় দ্বীপ গড়ে ওঠে না।


91. সুন্দরবনে কী জাতীয় অরণ্য দেখা যায়?

উঃ ম্যানগ্রোভ জাতীয় অরণ্য।


92. সুন্দরবন নামকরণের কারণ কী?

উঃ সুন্দরী নামক উদ্ভিদের প্রাধান্যের জন্য এই বনের নামকরণ হয় সুন্দরবন।


93. সুন্দরবনের তিনটি উল্লেখযোগ্য দ্বীপের নাম লেখো।

উঃ সুন্দরবনের তিনটি উল্লেখযোগ্য দ্বীপ হল – ঘোড়ামারা, লোহাচড়া ও নিউমুর দ্বীপ।


94. পলি, কাদা প্রভৃতি হালকা পদার্থ কীভাবে বাহিত হয়?

উঃ ভাসমান প্রক্রিয়ায় বহন করে।


95. নদীর গতিপথে সৃষ্ট পৃথিবীর বৃহত্তম চর বা দ্বীপ কোনটি?

উঃ অসম সমভূমিতে অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে মাজুলি দ্বীপ।


96. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীটির নাম কী?

উঃ নীলনদ।


97. দোয়াব কী?

উঃ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে দোয়াব বলে।


98. উপনদী কাকে বলে?

উঃ প্রধান নদীর গতিপথে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে অনেক ছোট ছোট নদী এসে প্রধান নদীতে মেশে, এদের উপনদী বলে। যেমন- গঙ্গার উপনদী যমুনা।


99. দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কী? এর দৈর্ঘ্য কত?

উঃ গোদাবরী। দৈর্ঘ্য – ১৪৬৫ কিমি।


100. পৃথিবীর দীর্ঘতম খাড়িটি কোথায় আছে? এর দৈর্ঘ্য কত?

উঃ ওব নদীর মোহনায়। দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৮৫ কিমি এবং প্রস্থ প্রায় ৮০ কিমি।


101. পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপটির নাম কী?

উঃ গঙ্গা নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা ব-দ্বীপ (৭৭০০০ বর্গ কিমি)।


102. নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ ইংরেজি I আকৃতির উপত্যকা, ইংরেজি V আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত প্রভৃতি।


103. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কী? এর দৈর্ঘ্য কত?

উঃ নীলনদ। দৈর্ঘ্য – ৬৬৩২ কিমি।


104. ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কী? এর দৈর্ঘ্য কত?

উঃ গঙ্গা। দৈর্ঘ্য – ২৫১০ কিমি।


105. নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ ব-দ্বীপ, চর, মিয়েন্ডার, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ প্রভৃতি।


106. আহরণ ক্ষেত্র কাকে বলে?

উঃ একটি নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী সমূহ যে সব অঞ্চলের জল সংগ্রহ করে সেইসব অঞ্চলকে একসঙ্গে প্রধান নদীটির আহরণ ক্ষেত্র বলে।


107. কিউসেক কী?

উঃ নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয় তাকেই বলে কিউসেক। সুতরাং নদীপ্রবাহ পরিমাপের একককে বলে কিউসেক।


108. ভারতের একটি আদর্শ নদীর নাম লেখ।

উঃ গঙ্গা।


109. নদীর গতিপথের কোন অংশে সঞ্চয়কার্য বেশি হয়?

উঃ তৃতীয় অংশ অর্থাৎ নিম্নগতিতে।


110. গঙ্গা নদীর পার্বত্য প্রবাহ কতদূর বিস্তৃত?

উঃ গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত।


111. গঙ্গা নদীর পার্বত্য প্রবাহ কতদূর বিস্তৃত?

উঃ গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ তুষার গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত।


112. নদীর গতিপথের কোন অংশে সঞ্চয়কার্য বেশি হয়?

উঃ তৃতীয় অংশ অর্থাৎ নিম্নগতিতে।


113. নদীপ্রবাহ পরিমাপের একককে কী বলে?

উঃ কিউসেক।


114. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ কী?

উঃ ক্ষয়কার্য।


115. নদীখাত খুব সঙ্কীর্ণ ও গভীর হলে তাকে কী বলে?

উঃ গিরিখাত।


116. নদীর গতিপথ খুব আঁকাবাঁকা হলে তাকে কী বলে?

উঃ আঁকা-বাঁকা গতিপথ বা মিয়েণ্ডার।


117. আহরণ ক্ষেত্র কাকে বলে?

উঃ একটি নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী সমূহ যে সব অঞ্চলের জল সংগ্রহ করে সেইসব অঞ্চলকে একসঙ্গে প্রধান নদীটির আহরণ ক্ষেত্র বলে।


118. নদীর কোন প্রবাহে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়?

উঃ পার্বত্য প্রভাবে।


119. নদী মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার দুটি কারণ লেখো।

উঃ নদী মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার কারণগুলি হল –

১) নদী যখন সাগরে পড়ে তখন নদীর স্রোতের বেগ অনেক কমে যায়। অন্যদিকে সাগরের জোয়ারের জল নদীতে প্রবেশ করে। তখন মোহনায় নদীবাহিত পলি সঞ্চিত হয়।

২) প্রথম অবস্থায় এই অংশ নীচু ও জলাময় থাকে। সঞ্চিত পলি দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে নদী প্রথমে বিভিন্ন শাখায় ও পরবর্তীকালে উপশাখায় বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হয়। শাখা নদীর মধ্যবর্তী স্থানেও পলি সঞ্চিত হয়।

৩) বহু বছর ধরে সঞ্চিত পলি উঁচু হয়ে বদ্বীপ গঠন করে।

৪) শাখানদীগুলো প্রায়ই পথ পরিবর্তন করে পলি সঞ্চয় ও বদ্বীপ গঠনের কাজ ত্বরাণ্বিত করে।


120. নদীর স্বাভাবিক বাঁধের গুরুত্ব কী?

উঃ নদীর স্বাভাবিক বাঁধ প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়। এই বাঁধ স্বাভাবিক অবস্থায় নদীর জলকে নদীখাতের মধ্যে আটকে রাখে, ফলে বন্যা হয় না। অবশ্য নদীর জল বহুগুণ বৃদ্ধি পেলে তা স্বাভাবিক বাঁধ অতিক্রম করে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত করে।


121. কাবেরী নদীর উপর স্থাপিত জলপ্রপাতটির নাম কী?

উঃ শিবসমুদ্রম জলপ্রপাত।


122. নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ ব-দ্বীপ, চর, মিয়েন্ডার, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ প্রভৃতি।


123. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত বা ক্যানিয়ন কোনটি?

উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন।


124. পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ উপত্যকা ও নদী উপত্যকার আকৃতি কী হয়?

উঃ হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মত, নদী উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘I’ এবং ‘V’ অক্ষরের মত হয়।


125. হিমবাহ বলতে কী বোঝ?

উঃ স্থলভাগের তুষার ও জমাট বাঁধা কঠিন বরফের স্তূপ যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ধীরগতিতে উচ্চভূমি থেকে নিম্নভূমিতে নেমে আসে তখন তাকে বলে হিমবাহ।


126. পার্বত্য হিমবাহ বা উপত্যকা হিমবাহ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ উচ্চ পার্বত্য ঢাল বেয়ে অভিকর্ষের টানে যে হিমবাহ ধীর গতিতে নীচের দিকে নামে তাকে পার্বত্য হিমবাহ বা উপত্যকা হিমবাহ বলে।


127. পাদদেশীয় হিমবাহ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ পর্বতের পাদদেশে যে হিমবাহ দেখা যায় তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে। যথা- আলাস্কার ম্যালাসপিনা হিমবাহ।


128. হিমবাহের কয়টি কাজ ও কী কী?

উঃ তিনটি। ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয়।


129. অবঘর্ষ কাকে বলে?

উঃ গতিশীল হিমবাহের চলমান শিলাখণ্ড ভূ-পৃষ্ঠের সঙ্গে ঘর্ষণ করে ক্ষয়কার্য করে, একে অবঘর্ষ ক্ষয় বলে।


130. উৎপাটন কাকে বলে?

উঃ চলমান হিমবাহের প্রচন্ড ধাক্কার প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠস্থ শিলাস্তর থেকে অনেক সময় বিশালাকার শিথিল শিলাখণ্ড স্থানচ্যুত হয়, একে উৎপাটন বলে।


131. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

উঃ হিমবাহের ক্ষয়কার্যের নিয়ন্ত্রকগুলি হল-

১) হিমবাহের গভীরতা ও গতিবেগ,

২) ভূমির ঢাল,

৩) শিলার প্রকৃতি

৪) জলবায়ু।


132. হিমরেখা কী?

উঃ পর্বতের গায়ে যে সীমারেখার ওপর সারাবছর তুষার বা বরফ জমে থাকে তাকে হিমরেখা বলে।


133. ভারতের বৃহত্তম হিমবাহের নাম কী?

উঃ সিয়াচেন।


134. পৃথিবীর দ্রুততম হিমবাহের নাম কী?

উঃ গ্রীণল্যাণ্ডের জ্যাকোভসাভোঁ ইসব্রে।


135. পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কী?

উঃ ল্যামবার্ট।


136. ভারতের দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কী?

উঃ সিয়াচেন।


137. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ U আকৃতির উপত্যকা, করি বা সার্ক, ঝুলন্ত উপত্যকা, এরিটি, পিরামিড চূড়া, রসে মতানে, ফিয়র্ড প্রভৃতি।


138. হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ গ্রাবরেখা, কেম, এসকার, ড্রামলিন।


139. রসেমতানে কিভাবে সৃষ্টি হয়?

উঃ হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হয়।


140. ক্র্যাগ অ্যান্ড টেল কিভাবে সৃষ্টি হয়?

উঃ হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হয়।


141. পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম কী?

উঃ ল্যাম্বার্ট।


142. টাইটানিক জাহাজ কবে কীভাবে ডুবে যায়?

উঃ ১৯১২ সালে হিমশৈলের আঘাতে ডুবে যায়।


143. হিলশৈলের কত অংশ জলের উপরে ভাসে?

উঃ হিমশৈলের মাত্র ১/৯ অংশ জলের উপরে ভেসে থাকে।


144. হিমবাহ সৃষ্ট উপত্যকার আকৃতি কেমন হয়?

উঃ ইংরেজি অক্ষর ‘U’ এর মত হয়।


145. ক্রেভাস কী?

উঃ হিমবাহের উপরের বরফপৃষ্ঠে কখনও কখনও ফাটল দেখা যায়। এই ফাটলকে ক্রেভাস বলে।


146. বার্গশ্রুন্ড কী?

উঃ হিমবাহের বরফে সৃষ্ট ফাটল বা ক্রেভাস সমান্তরাল বা আড়াআড়িভাবে অবস্থান করে। অতি গভীর ও প্রশস্ত হিমবাহ ফাটলকে বার্গশ্রুন্ড বলে।


147. সার্ক কাকে বলে? এগুলি কোথায় কী কী নামে পরিচিত?

উঃ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে পাহাড়ের খাঁজে উৎপন্ন অর্ধগোলাকৃতি গহ্বরকে সার্ক বলে। এগুলি-

  • ফ্রান্সে – সার্ক,
  • স্কটল্যান্ডে – করি,
  • নরওয়ে-তে – কাম,
  • জার্মানীতে – কার নামে পরিচিত।


148. করিহ্রদ কী?

উঃ সার্কের মধ্যাংশের খাদটিতে অনেকসময় হিমবাহের অবশিষ্ট অংশ থেকে যায়। পরবর্তীকালে ঐ হিমবাহ গলে গিয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি হয় তাকে করি হ্রদ বলে।


149. হিমবাহ গলিত জল করিতে জমা হলে তাকে কী বলে?

উঃ করিহ্রদ।


150. টার্ন কী?

উঃ ক্ষুদ্রাকার করিহ্রদকে টার্ন বলে।


151. এরিটি কাকে বলে?

উঃ দুটি করির মধ্যবর্তী সংকীর্ণ ও তীক্ষ্ণ প্রাচীরর মত উঁচু চূড়াকে এরিটি বলে।


152. পিরামিড চূড়া বা হর্ন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ পার্বত্য হিমবাহের উচ্চ অংশে কয়েকটি এরিটি বিপরীতমুখী হয়ে অবস্থান করলে তাদের মধ্যবর্তী শৃঙ্গটি পিরামিডের মত দেখায়, এরূপ চূড়াকে পিরামিড চূড়া বা হর্ন বলে। যথা- আল্পস পর্বতের ম্যাটারহর্ন ও ভারতের হিমালয়ের নীলকন্ঠ পিরামিড চূড়ার উদাহরণ।


153. কর্তিত শৈলশিরা বা কর্তিত স্পার কাকে বলে?

উঃ উপত্যকা হিমবাহের চলার পথের উভয়দিকে প্রায়শই স্পার (পর্বতের অভিক্ষিপ্ত অংশ) দেখা যায়। হিমবাহ প্রবাহ ঐ স্পার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হলে স্পারগুলিকে ক্ষয় করে হিমবাহ চলতে থাকে, ক্ষয়প্রাপ্ত এইসব স্পারকে কর্তিত শৈলশিরা বা কর্তিত স্পার বলে।


154. হিমদ্রোণী কাকে বলে?

উঃ হিমবাহ যে পার্বত্য উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, ক্রমাগত ক্ষয়কার্যের ফলে উপত্যকাটি ইংরেজি ‘U’ আকার ধারণ করে, একে ‘U’-আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী বলে।


155. হিমসিঁড়ি কী?

উঃ পার্বত্য হিমবাহ অঞ্চলে শিলার কাঠিন্যের তারতম্যের কারণে অসম ক্ষয়কার্য হয়, এরফলে উপত্যকা বরাবর নানা ধাপ বা সিঁড়ির সৃষ্টি হয়। এরূপ ধাপকে হিমসিঁড়ি বলে।


156. প্যাটারনস্টার হ্রদ কাকে বলে?

উঃ হিমদ্রোণীর ট্রিড অংশটি সাধারণত কিছুটা অবতল হয়। হিমবাহ সরে গেলে ওই অংশে জল জমে হ্রদের সৃষ্টি হয়। একে প্যাটারনস্টার হ্রদ বলে।


157. ঝুলন্ত উপত্যকা কী? উদাহরণ দাও।

উঃ প্রধান হিমবাহের উপত্যকা অনেক গভীর হয়। ছোট ছোট উপহিমবাহ প্রধান হিমবাহের সঙ্গে মিলিত হয়। ছোট হিমবাহগুলির উপত্যকা অগভীর হয়। প্রধান ও উপহিমবাহের মিলনস্থলে উপহিমবাহের অগভীর উপত্যকা যেন প্রধান হিমবাহের গভীর উপত্যকার উপর ঝুলন্ত অবস্থায় আছে বলে মনে হয়। একে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে। যথা- বদ্রীনাথের কাছে ঋষিগঙ্গা একটি ঝুলন্ত উপত্যকার উদাহরণ।


158. রসে মোতানে কাকে বলে?

উঃ হিমবাহের চলার পথে অনেক সময় কঠিন শিলা ঢিবির মত অবস্থান করে। তখন অবঘর্ষ ক্ষয়ে ঐ শিলার সম্মুখভাগ মসৃণ হয়, কিন্তু বিপরীত দিকে উৎপাটন প্রক্রিয়ায় শিলায় অসমান খাঁজ বা ফাটল সৃষ্টি হয়। এই প্রকার ভূমিরূপকে রসে মোতানে বলে।


159. ক্র্যাগ অ্যান্ড টেল কী?

উঃ হিমবাহের চলার পথে কখনও কখনও উঁচু কঠিন শিলার পিছনে নরম শিলা অবস্থান করে। এক্ষেত্রে পিছনের নরম শিলা কঠিন শিলার বাধায় খুব কম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কঠিন শিলাকে ক্র্যাগ ও পিছনের সরু লেজ আকৃতির নরম শিলাকে টেল বলে।


160. ফিয়র্ড কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ সুমেরু মহাদেশের সমুদ্রপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্থলভাগে হিমবাহের গভীর ক্ষয়কার্য দ্বারা বেসিন (গভীর অবনত উপত্যকা) সৃষ্টি হয়। এর গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীচে থাকে বলে এখানে সমুদ্রের জল প্রবেশ করে। এরূপ জলময় অংশকে ফিয়র্ড বলে।


161. গ্রাবরেখা কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?

উঃ পার্বত্য প্রবাহে হিমবাহের সঙ্গে বাহিত বিভিন্ন পদার্থ উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয়। এই সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপকে গ্রাবরেখা বলে।

গ্রাবরেখা তিন প্রকার। যথা- পার্শ্ব গ্রাবরেখা, মধ্য গ্রাবরেখা ও প্রান্ত গ্রাবরেখা।


162. পার্শ্ব গ্রাবরেখা কাকে বলে?

উঃ পার্বত্য হিমবাহের প্রবাহ পথের দুই পাশে যে সঞ্চয় হয় তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।


163. মধ্য গ্রাবরেখা কাকে বলে?

উঃ একটি প্রধান হিমবাহের সঙ্গে একটি উপহিমবাহ মিলিত হলে মিলনস্থলে যে হিমবাহ সঞ্চয় হয় তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।


164. প্রান্ত গ্রাবরেখা কাকে বলে?

উঃ পর্বতের পাদদেশ অঞ্চলে হিমবাহের যাত্রা শেষ হয়। এখানে হিমবাহের বরফ গলে যায় এবং হিমবাহিত পদার্থসমূহ সঞ্চিত হয়। হিমবাহের প্রান্তে এরূপ সঞ্চয়কে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।


165. হিমবাহের দুপাশে যখন পাহাড়, নুড়ি ইত্যাদি সঞ্চিত হয় তখন তাকে কী বলে?

উঃ পার্শ্ব গ্রাবরেখা।


166. বহিঃধৌত সমভূমি কাকে বলে?

উঃ হিমবাহের প্রবাহপথের শেষে সঞ্চিত পদার্থসমূহ বরফগলা জল ও নদীর সাহায্যে সম্মুখদিকে কিছুটা দূরে বাহিত হয়। তারপর পুনরায় সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃধৌত সমভূমি বলে।


167. ডেকেনশট্টার কী?

উঃ হিমবাহের প্রবাহপথের শেষে সঞ্চিত পদার্থসমূহ বরফগলা জল ও নদীর সাহায্যে সম্মুখদিকে কিছুটা দূরে বাহিত হয়। তারপর পুনরায় সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃধৌত সমভূমি বলে। আল্পস পর্বতের পাদদেশ অঞ্চলে এরূপ সঞ্চয়কে ডেকেনশট্টার বলে।


168. কেটল কাকে বলে?

উঃ অনেক সময় বহিঃধৌত সমভূমির সঞ্চয়ের বরফের চাঁই চাপা পড়ে যায়। পরে বরফ গলে ওইখানে যে গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে কেটল বলে।


169. কেটল হ্রদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ অনেক সময় বহিঃধৌত সমভূমির সঞ্চয়ের বরফের চাঁই চাপা পড়ে যায়। পরে বরফ গলে ওইখানে যে গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে কেটল বলে। এই প্রকার গর্ত বা কেটল জলপূর্ণ হয়ে হ্রদের আকার নিলে তাকে কেটল হ্রদ বলে।


170. ভার্ব কী?

উঃ কেটল হ্রদের তলদেশে বহু বছর ধরে স্তরে স্তরে যে পলি সঞ্চিত হয় তাকে ভার্ব বলে।


171. ড্রামলিন কাকে বলে?

উঃ হিমবাহ বাহিত বিভিন্ন আকৃতির শিলাখণ্ড, নুড়ি, বালি, কাঁকর কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে সমভূমির সৃষ্টি করে। এরূপ সমভূমির আকৃতি উলটানো নোউকা বা উলতানো চামচের মতো দেখতে হলে তাকে ড্রামলিন বলে।


172. এসকার কাকে বলে?

উঃ পর্বতের পাদদেশ অঞ্চলে হিমবাহের বয়ে আনা শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে আঁকাবাঁকা শৈলশিরা বা বাঁধের ন্যায় ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তাকে এসকার বলে।


173. Beaded Esker কী?

উঃ আয়ারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডে এক বিশেষ ধরনের এসকার দেখা যায়। এই শৈলশিরা মাঝে মাঝে প্রশস্ত ও ‘ব’-আকৃতির হয়। এই এসকারকে Beaded Esker বলে।


174. কেম কাকে বলে?

উঃ পর্বতের পাদদেশ অঞ্চলে বরফ গলে গেলে ওই স্থানে হিমবাহ বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে ‘ব’-আকৃতি বা ত্রিকোণাকৃতি ঢিবি সৃষ্টি করে তাকে কেম বলে।


175. কেম মঞ্চ কাকে বলে?

উঃ হিমবাহ প্রান্তের পার্শ্বদেশে সঞ্চিত কেমের উপরিভাগ ধাপ বা মঞ্চ আকৃতির হলে তাকে কেম মঞ্চ বলে।


176. কেম পরিবার কাকে বলে?

উঃ একাধিক কেম পরস্পর রৈখিকভাবে অবস্থান করলে তাকে kame complex বা কেম পরিবার বলে।


177. পার্বত্য হিমবাহ অঞ্চলে কোন হ্রদ দেখা যায়?

উঃ করি হ্রদ।


178. পর্বতের পাদদেশে যে হিমবাহ দেখা যায় তাকে কী বলে?

উঃ পাদদেশীয় হিমবাহ বলে।


179. কী সঞ্চয়ের ফলে এসকার তৈরি হয়?

উঃ হিমবাহের বয়ে নিয়ে আসা নুড়ি, শিলাখণ্ড, কাদা প্রভৃতি সঞ্চয়ের ফলে।


180. কোন অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য সর্বাধিক?

উঃ মরু অঞ্চলে।


181. অবস্থান অনুসারে মরুভূমিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় কী কী?

উঃ তিন ভাগে। যথা- উষ্ণ মরুভূমি, নাতিশীতোষ্ণ মরুভূমি ও শীতল মরুভূমি।


182. উষ্ণ মরুভূমি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ উষ্ণ মণ্ডলে অবস্থিত মরুভূমিকে উষ্ণ মরুভূমি বলে। যথা- আফ্রিকার সাহারা, কালাহারি, আরবের মরুভূমি, ভারতের থর মরুভূমি প্রভৃতি।


183. নাতিশীতোষ্ণ মরুভূমি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলে অবস্থিত মরুভূমিকে নাতিশীতোষ্ণ মরুভূমি বলে। যথা- চিনের তাকলামাকান, মঙ্গোলিয়ার গোবি প্রভৃতি।


184. শীতল মরুভূমি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ শীতল অঞ্চলে অবস্থিত মরুভূমিকে নাতিশীতোষ্ণ মরুভূমি বলে। যথা- গ্রীনল্যান্ড, লাদাখ প্রভৃতি।


185. বালুকাময় মরুভূমি কাকে বলে? এই মরুভূমি সাহারা ও তুর্কিস্থানে কী নামে পরিচিত?

উঃ যে মরুভূমিতে সর্বত্রই বালির প্রাধান্য থাকে তাকে বালুকাময় মরুভূমি বলে।

এই মরুভূমি সাহারায় আর্গ ও তুর্কিস্থানে কুম নামে পরিচিত।


186. বালুকণা কী? বালুকণা কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উঃ কোয়ার্জ নামক খনিজের ক্ষুদ্রাকার কণাকে বালুকণা বলে।

বালুকণা সৃষ্টির পদ্ধতিগুলি হল-

১) কোয়ার্জ সমৃদ্ধ বিভিন্ন বৃহদাকার শিলা আবহবিকারের প্রভাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় ও বিয়োজিত হয়।

২) চূর্ণ-বিচূর্ণ ও বিয়োজিত শিলাখণ্ড আরও ক্ষয়প্রাপ্ত হলে কোয়ার্জ অবশিষ্টাংশ হিসাবে থেকে যায় এবং বালুকণা সৃষ্টি করে।

৩) সমুদ্রতরঙ্গ বাহিত পদার্থ সৈকতে জমা হয়। ঐ সঞ্চিত পদার্থ থেকে জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বালুকণার সৃষ্টি হতে পারে।

৪) পাইরোক্লাস্টিক শিলা ক্ষয়ীভূত হতে হতে বালুকণার সৃষ্টি হয়।


187. বায়ু কী কী পদ্ধতিতে ক্ষয়কার্য করে?

উঃ তিনটি পদ্ধতিতে। যথা- অবঘর্ষ, ঘর্ষণ ও অপসারণ।


188. বায়ু কী কী পদ্ধতিতে বহন করে?

উঃ তিনটি পদ্ধতিতে। যথা- ভাসমান, লম্ফদান ও গড়ানো।


189. অপসারণ গর্ত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ মরুভূমির যে অংশে ক্ষুদ্রাকার বালি এবং পলি শিথিল অবস্থায় থাকে সেখান থেকে ঐ পদার্থসমূহ শক্তিশালী বায়ুর সাথে অন্যত্র অপসারিত হয়। অপসারণের ফলে যেসকল ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে অপসারণ গর্ত বলে। ইহা কালাহারিতে ‘প্যান্‌’ এবং ভারতের থর মরুভূমিতে ‘ধান্দ্‌’ নামে পরিচিত। যেমন- মিশরের ‘কাত্তারা’ গর্ত সবচেয়ে বড় অপসারণ গর্তের উদাহরণ।


190. বায়ু কয়টি পদ্ধতিতে ক্ষয়কার্য করে?

উঃ তিনটি পদ্ধটিতে। ক্ষয়সাধন, অপসারণ এবং অবক্ষেপণ।


191. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ গৌর, জিউগেন, ইনসেল বার্জ, ইয়ার্দাঙ প্রভৃতি।


192. বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ব্যাঙের ছাতার মত আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপকে কী বলে?

উঃ গৌর।


193. বালিয়াড়ি কাকে বলে?

উঃ বালিপূর্ণ বায়ুর গতিপথে গাছপালা, প্রস্তরখন্ড, ঝোপঝার বা অন্য কোন বাধা থাকলে তাতে প্রতিহত হয়ে বায়ুবাহিত বালির কিছু অংশ সেখানে সঞ্চিত হয় এবং উঁচু ঢিবির মত অবস্থান করে, একে বালিয়ারি বলে।


194. কোন কোন অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়?

উঃ উষ্ণ মরু অঞ্চলে, শুষ্ক অঞ্চলে এবং সমুদ্র উপকূলে।


195. রাজস্থানের মরুঅঞ্চলের চলমান বালিয়াড়িকে কী বলে?

উঃ ধ্রিয়ান।


196. তির্যক বালিয়াড়ির আর এক নাম কী?

উঃ বার্খান।


197. পৃথিবীর উচ্চতম বালিয়াড়ি কোথায় অবস্থিত?

উঃ উত্তর আফ্রিকার আলজিরিয়ায় অবস্থিত।


198. হামাদা কী?

উঃ কোন কোন সময় মরুভূমির যেসব স্থান বন্ধুর ও শিলাগঠিত বা পাথুরে সেখানে বায়ুপ্রবাহ অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের জন্য স্থানটি সমতল ও মসৃণাকার ধারণ করে। সাহারা মরুভূমিতে এই ধরনের শিলাগঠিত সমতলভূমিকে হামাদা বলে।


199. ইনসেল বার্জ কী?

উঃ অনেক সময় প্রায় সমতল মরুভূমির মধ্যে স্বল্প উচ্চতা বিশিষ্ট কিছু টিলাকে বিক্ষিপ্ত ভাবে অবস্থান করতে দেখা যায়, এগুলিকে বলে ইনসেল বার্জ।


200. ভারতের কোথায় ধান্দ দেখা যায়?

উঃ রাজস্থানের মরুঅঞ্চলে।


201. বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপের নাম লেখ।

উঃ বালিয়াড়ি, বার্খান, পেডিমেন্ট, বাজাদা, প্লায়া প্রভৃতি।


202. গৌর কাকে বলে?

উঃ মরুভূমিতে কোথাও কোথাও কঠিন ও কোমল শিলাস্তর পর্যায়ক্রমে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করে। বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত বায়ুর অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয় পায়। কঠিন শিলায় ক্ষয় খুব কম হয়। শিলার চারিপাশে অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে নীচের অংশ সরু পিলার-এর আকার নেয়। উপরের কঠিন শিলা ক্ষয় প্রতিরোধ করে কিছুটা চ্যাপ্টা আকৃতির হয়। তখন ওই ভূমিরূপকে ব্যাঙের ছাতার ন্যায় দেখায়। একে গৌর বা গারা বলে। সাহারা ও ইরানের মরুভূমিতে অনেক গৌর দেখা যায়।


203. জিউগেন কাকে বলে?

উঃ মরু অঞ্চলে কোমল ও কঠিন শিলা পরস্পর অনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে কোমল শিলার ফাটল ও দুর্বল অংশ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে খাতের সৃষ্টি করে। কঠিন শিলা কম ক্ষয়ে প্রা সমতল চূড়া বিশিষ্ট ভূমিরূপ তৈরি করে। খাত ও চূড়াবিশিষ্ট এই ভূমিরূপকে জিউগেন বলে। কালাহারি মরুভূমিতে জিউগেন দেখা যায়।


204. ইয়ারদাং কাকে বলে?

উঃ মরু অঞ্চলে অনেক সময় কঠিন ও কোমল শিলা পর্যায়ক্রমে উল্লম্বভাবে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে বায়ু শিলার অবস্থানের সমান্তরালে প্রবাহিত হলে কোমল শিলা দ্রুত অবঘর্ষ ক্ষয়ের প্রভাবে লম্বা পরিখা বা সুড়ঙ্গের আকার ধারণ করে। কম ক্ষয়প্রাপ্ত কঠিন শিলা প্রাচীরের ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকে। এরূপ প্রাচীর পরিখা বিশিষ্ট ভূমিরূপকে ইয়ারদাং বলে।


205. বালিয়াড়ি কাকে বলে? বালিয়াড়ি গঠনের শর্তগুলি লেখো।

উঃ বালিপূর্ণ বায়ুর গতিপথে গাছপালা, প্রস্তরখন্ড, ঝোপঝার বা অন্য কোন বাধা থাকলে তাতে প্রতিহত হয়ে বায়ুবাহিত বালির কিছু অংশ সেখানে সঞ্চিত হয় এবং উঁচু ঢিবির মত অবস্থান করে, একে বালিয়ারি বলে।


বালিয়ারি গঠনের শর্তগুলি হল-

১) বালির প্রাচুর্য,

২) প্রবল গতিসম্পন্ন বায়ু, যার দ্বারা বালি বাহিত হয়ে অন্যত্র যাবে,

৩) উদ্ভিদ, ঝোপ উঁচু শিলা প্রভৃতি বাধাদানকারী বস্তু,

৪) বালি সঞ্চিত হওয়ার উপযুক্ত স্থান।


206. নেবখা কী?

উঃ ঝোপ-ঝাড়ের বাধায় সৃষ্ট বালিয়ারিকে নেবখা বলে।


207. বার্খান কী?

উঃ অর্ধ-চন্দ্রাকৃতি বালিয়ারিকে বার্খান বলে।


208. সিফ্‌ বালিয়াড়ির করিডরকে কী বলে? সাহারা মরুভূমিতে এই বালিয়াড়ির নাম কী?

উঃ রেগ বা হামাদা বলে। সাহারা মরুভূমিতে এই বালিয়াড়ির নাম গাসি।


209. লোয়েশ সমভূমি কাকে বলে?

উঃ হলুদ ও ধূসর বর্ণের অতি সূক্ষ্ম খনিজ সমৃদ্ধ পলি ও বালুকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলে। বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে লোয়েস একস্থান থেকে অন্যস্থানে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হয়। লোয়েস সঞ্চয়ের ফলে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে লোয়েস সমভূমি বলে।


210. বায়ু বাহিত পলি নিম্নভূমিতে সঞ্চিত হয়ে যে সমতলভূমির সৃষ্টি করে তাকে কী বলে?

উঃ লোয়েস সমভূমি।


211. লোয়েস সমভূমির একটি উদাহরণ দাও।

উঃ চীনের উত্তরাংশে অবস্থিত হোয়াংহো অববাহিকার মধ্যভাগে লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে।


212. ওয়াদি কী?

উঃ মরুভূমিতে বৃষ্টির সময়ে নদীগুলি সক্রিয় থাকে।সক্রিয় অবস্থায় নদীগুলি দ্রুত ক্ষয় করে দ্রুত নদীখাত সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন বৃষ্টিহীনতার সময় নদীর জন বাষ্পীভবন ও অনুপ্রবেশের ফলে শুকিয়ে যায়। তখন নদীখাত শুষ্ক অবস্থায় থাকে। এই গভীর শুষ্ক নদীখাতকে ওয়াদি বলে।


213. পেডিমেণ্ট কী?

উঃ মরু অঞ্চলে উচ্চভূমির সম্মুখভাগ থেকে পাদদেশ পর্যন্ত মৃদু ঢালযুক্ত যে ভূমিরূপ দেখা যায় তাকে পেডিমেন্ট বলে।


214. বাজাদা কাকে বলে?

উঃ মরুভূমিতে পাহাড় দিয়ে ঘেরা অবনত অংশে পলি সঞ্চিত হয়ে যে স্বল্প ঢালযুক্ত সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বাজাদা বলে।


215. বোলসন কাকে বলে?

উঃ মরুভূমি অঞ্চলে পর্বত বেষ্টিত অবনত ভূমি বা বেসিন দেখা যায়। এই বেসিনকে বোলসন বলে।


216. প্লায়া কাকে বলে?

উঃ মরুভূমি অঞ্চলে বেসিনের চারপাশের পর্বতগুলিতে নদীর জল কেন্দ্রমুখী প্রবাহের কারণে অবনত অংশে (বেসিনে) জমা হয়। এর ফলে যে হ্রদ সৃষ্টি হয় তাকে প্লায়া বলে।


217. শটস্‌ কী?

উঃ উত্তর আফ্রিকায় লবণাক্ত প্লায়া হ্রদকে শটস্‌ বলে।


218. স্যালিনাস্‌ কী?

উঃ প্লায়ার জল সম্পূর্ণ বাষ্পীভূত হলে হ্রদের তলদেশে লবণের স্তর দেখা যায়, একে স্যালিনাস্‌ বলে।


219. মরুকরণ কী?

উঃ পৃথিবীর মরুভূমি সমূহের প্রান্তদেশে অবস্থিত শুষ্ক ও অর্ধ-শুষ্ক অঞ্চল ক্রমশ মরুভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। কোনও ভূমির এইভাবে মরুভূমিতে রূপান্তরকে মরুকরণ বলে।


220. মরুকরণ প্রতিরোধের উপায়গুলি কী কী?

উঃ মরুকরণ প্রতিরোধের উপায়গুলি হল-

১) মরুভূমির প্রান্তভাগে বনসৃজন করে বালির অগ্রসর হওয়া রোধ করা,

২) মরু পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বৃক্ষছেদন নিষিদ্ধ করা,

৩) জালি ও জাঙ্গল উদ্ভিদের সাহায্যে অসংবদ্ধ বালিকে সুস্থিত করা,

৪) যথেচ্ছ পশুচারণ বন্ধ করা প্রয়োজন,

৫) মরুকরণ বিষয়ে জনচেতনা গড়ে তোলা উচিৎ।


221. লোয়েস সমভূমি বায়ুর কোন কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়?

উঃ সঞ্চয় কার্যের ফলে।


222. মরুভূমির আর্দ্র অঞ্চলকে কী বলে?

উঃ প্লায়া।


223. পেডিমেন্টের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।


উঃ পেডিমেন্টের দুইটি বৈশিষ্ট্য হল-

১) কম ঢাল হয়,

২) কঠিন শিলার উপর পলির হালকা স্তর থাকে,

৩) উচ্চ অংশ এবং বাজাদার মধ্যবর্তী স্থানে সমতল ভূমিরূপে অবস্থান করে।


224. করি হ্রদ ও প্লায়া হ্রদের পার্থক্য কী?

উঃ করি হ্রদ ও প্লায়া হ্রদের পার্থক্যগুলি হল-


১) করি হ্রদ হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হয়, প্লায়া হ্রদ বায়ুর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হয়।

২) করি হ্রদ উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়, প্লায়া হ্রদ মরুঅঞ্চলে দেখা যায়।


Download মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর PDF


File Details:-

File Name:- মাধ্যমিক ভূগোল নদী, হিমবাহ ও বায়ুর কাজ প্রশ্ন উত্তর [www.gksolves.com]
File Format:-PDF
Quality:- High
File Size:-  5 Mb
File Location:- Google Drive

Click Here to Download


আরও পড়ুন:




Others Important Link

Syllabus Link: Click Here

Questions Paper Link: Click Here

Admit Card Link: Click Here

Result Link: Click Here

Latest Job: Click Here

Age Calculator: Click Here


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.