ভারতবর্ষ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Bharatvarsha SAQ Question Answer

ভারতবর্ষ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF: প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় Bharatvarsha SAQ Question Answer PDF থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভারতবর্ষ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF

ভারতবর্ষ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Bharatvarsha SAQ Question Answer

নিচে ভারতবর্ষ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর PDF টি যত্নসহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন। Bharatvarsha SAQ Question Answer PDF পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন।



ভারতবর্ষ - সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ


‘ভারতবর্ষ’ গল্পটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘পঞ্চাশটি গল্পের সংকলন’ থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।


ভারতবর্ষ SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Bharatvarsha SAQ Question Answer


1. ’ডাওর’ কাকে বলে?

Ans: শীতকালের বৃষ্টিকে রাঢ়বাংলার চাষাভুষোরা ‘ডাওর’ বলে |


2. ‘ সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল ” —কোন ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল ?


Ans: থুরথুরে কুঁজো ভিখিরি বুড়ি ওই দুর্যোগে কীভাবে বেঁচেবর্তে হেঁটে চায়ের দোকানে আসতে পারে , সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল। 


3. “সেই সময় এল এক বুড়ি।” –বুড়ির অবয়ব কেমন ছিল?

Ans: বুড়ি থুথুরে কুঁজো, একমাথা সাদা চুল, খর্বুটে, পরনে ছেঁড়া কাপড়, গায়ে জড়ানো চিটচিটে তুলোর কম্বল |


4. নাপিত নকড়ি বুড়িকে কী বলতে শুনেছিল ?

Ans: নাপিত নকড়ি বুড়িকে হরিবােল হরিবােল বলতে শুনেছিল। 


5. চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা কীসের প্রতীক্ষা করছিল ?

Ans: চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে গ্রামবাসীরা রােদ ঝলমল একটা দিনের প্রতীক্ষা করছিল। 


6. ’ফাঁপি’ কী?

Ans: শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইলে তাকে ‘ফাপি’ বলে |


7. “ বােঝা গেল , বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে। ” বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল ?

Ans: গাছের মােটা শিকড়ে বসে শিকড়ের পিছনে গাছের খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতা বুড়ির আছে। 


8. “ তর্কাতর্কি , উত্তেজনা হল্লা চলতে থাকল। ” কী বিষয়ে , কাদের মধ্যে তর্কাতর্কি , উত্তেজনা ও হল্লা চলছিল ?

Ans: সমাজসচেতন লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ ভারতবর্ষ ‘ গল্পে একটি চেতনাহীন বৃদ্ধা হিন্দু না মুসলমান এই বিষয়কে কেন্দ্র করে হিন্দু – মুসলমানদের মধ্যে। তর্কাতর্কি , উত্তেজনা , হল্লা চলছিল। 


9. “ হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল ” অদ্ভুত দৃশ্যটি কী ?

Ans: সকালে যে বুড়ির মৃতদেহ গ্রামের যুবকরা নদীর তীরে ফেলে দিয়ে এসেছিল , বিকেলে মাঠ পেরিয়ে মুসলমানরা সেই দেহকেই চ্যাংদোলায় বহন করে আনছে।


10. “সবার হাতে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র। – কী কারণে সবাই অস্ত্রশস্ত্র নিয়েছিল?

Ans: বুড়ি হিন্দু না মুসলমান– এই বিতর্কে হিন্দু আর মুসলমানেরা জড়িয়ে পড়েছিল। সেই বিতর্ক চরমে পৌঁছলে পরস্পরকে আক্রমণের জন্য তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়েছিল।


11. “চৌকিদার হাঁ করে দেখছে।” – চৌকিদার কী দেখছে?

Ans: চৌকিদার দেখছে বুড়ি নড়তে নড়তে উঠে বসার চেষ্টা করছে আর দু-দিকের সশস্ত্র জনতা তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।


12. “একদা সে ছিল পেশাদার লাঠিয়াল। এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

Ans: এখানে ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের করিম ফরাজির কথা বলা হয়েছে।


13. “বৃষ্টিতে তা হলো ধারালো” —কী ধারালো হল?

Ans: রাঢ় বাংলার জাঁকালো শীতের মধ্যে বৃষ্টি হলে গাঁত খুব ধারালো হয়।


14. “আমি স্বকর্ণে শুনেছি।” –কে, কী শুনেছিল?

Ans: ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে ফজলু সেখ বুড়িকে ‘লাইলাহা ইল্লাল্লা’ বলতেশুনেছে।


15. “তার সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।”—কার সপক্ষে কী প্রমাণ জুটে গেল?

Ans: গাঁয়ের ভটচাজমশাই বুড়িকে শ্রীহরি বলতে শুনেছে। এই কথার সমর্থন করে নকড়ি নাপিত বলল সে বুড়িকে ‘হরিবোল’ বলতে শুনেছে, নিবারণও তার পক্ষ নিল। এইভাবে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।


16. “বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে বলা হয় কী?

Ans: বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তাকে ফাপি বলা হয়।


17. পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরনো ‘বিচন’টি কী ?

Ans: পউষে বাদলা সম্পর্কে ‘ডাকপুরুষ’-এর পুরনো বচন হলো- শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন— বাকি সব দিন এক দিন বৃষ্টি হবে।


18. “নিবারণ বাগদি রাগী লোক”– নিবারণ বাগদি আগে কী করত?

Ans: নিবারণ বাগদি একসময় দাগি ডাকাত ছিল, ডাকাতি করত।


19. “তাই লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে। কী কারণে লোকের মেজাজ বিগড়ে গেল?

Ans: ’ভারতবর্ষ’ গল্পের কাহিনি অনুসারে শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাসের এক দুর্যোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তখন মাঠ ভরতি ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় লোকের মেজাজ বিগড়ে গেল।


20. ’ভারতবর্ষ’ গল্পে যে বাদলার কথা আছে, তা কোন্ দিন লেগেছিল?

Ans: ’ভারতবর্ষ’ গল্পে যে বাদলার কথা আছে তা মঙ্গলবারে লেগেছিল।


21. “বুড়ি খেপে গেল” –কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল?

Ans: চায়ের দোকানের ছেলেরা বুড়িকে বলেছিল যে, ওই বর্ষায় তেজি টাট্টুর মতো বেড়িয়ে পড়েছে | ওই কথা শুনেই বুড়ি খেপে গিয়েছিল |


22. মোল্লাসাহের কী জন্য শহরে গিয়েছিলেন?

Ans: সেদিন মামলার দিন ছিল বলে মোল্লাসাহেব শহরে গিয়েছিলেন।


23. “আরবি মন্ত্র পড়ছে ওরা।”— কারা আরবি মন্ত্র পড়ছিল?

Ans: মুসলমান পাড়ার লোকেরা বুড়ির মৃতদেহ নদীর চড়া থেকে তুলে আনার সময় আরবি মন্ত্র পড়ছিল।


24. “তাই ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে।”— কী কারণে ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে?

Ans: ধানের মরশুম; তাই আজ না হোক কাল পয়সা পাবেই—এই আশায় চা-ওয়ালার ধারের অঙ্ক বেড়েই চলে।


25. “নারায়ে তকবির–আল্লাহু আকবর।”— এ কথার অর্থ কী?

Ans: উদ্ধৃত কথাটির অর্থ হল উচ্চকণ্ঠে বলো আল্লাই সর্বশ্রেষ্ঠ।


26. ‘লাইলাহা ইল্লাল্ল’ কথার অর্থ কী?

Ans: এই কথাটির অর্থ হল–আল্লা ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।


27. “সবাই দিগন্তে চোখ রাখল।” – কী কারণে সবাই দিগন্তে চোখ রেখেছিল?

Ans: বুড়ির মৃতদেহ নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে এসে সবাই ভেবেছিল ঝাঁকেঝাঁকে শকুন নামবে। তাই তারা দিগন্তে চোখ রেখেছিল |


28. “নির্ঘাত মরবে বুড়িটা।” –এমন মন্তব্যের কারণ কী?

Ans: শীতের ভয়ংকর ঝড়বাদলের মধ্যে উদ্দিষ্ট বুড়ি একা একাই রাস্তায় রাস্তায় বেরিয়েছিল। এই কারণেই তার সম্পর্কে আলোচ্য মন্তব্যটি করা হয়েছে।


29. “বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল।” –চৌকিদারের পরামর্শ মেনে বুড়ির শবদেহকে কী করা হল?

Ans: বিজ্ঞ চৌকিদার মৃত বুড়িকে দু-মাইল দূরে নদীতে ফেলে দিয়ে আসতে পরামর্শ দিয়েছিল।


30. “তা কি হয় আমরা বেঁচে থাকতে?” – কী হওয়ার কথা বলা হয়েছে?

Ans: মৃত বুড়িকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে এসেছিল। গাঁয়ের মোল্লা বুড়িকে মুসলমান ভেঙে নিয়ে উক্ত ঘটনাটি মেনে নিতে পারেন নি।


31. “শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন–বাকি সব দিন-দিন।” —পউষে বাদলা সম্পর্কে প্রচলিত গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’-টি ব্যাখ্যা করো।

Ans: ডাকপুরুষের বচনটির অর্থ হল—শনিতে বাদলা লাগলে সাত দিন থাকবে, মঙ্গলে লাগলে পাঁচ দিন ও বুধে তিন দিন| বাকি দিনে, বাদলা লাগলে দিনের দিনেই বন্ধ হয়ে যাবে।


32. “উঁকি মেরে সব দেখে শুনে বললেন—অসম্ভব।” – কে, কী দেখে অসম্ভব বলেছিল?

Ans: ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বর্ণিত গ্রামের মোল্লাসাহেব মৃত বুড়িকে উঁকি মেরে দেখেন এবং বলেন যে, বুড়ি কখনই মুসলমান নয়।


33. “মুখটা বিকৃত হয়ে গেল।” – কী কারণে, কার মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল?

Ans: ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের মৃত বুড়ি চ্যাঙদোলা থেকে উঠে বসে দু-দিকের বিবদমান জনতাকে দেখল। তাদের সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিকে ব্যঙ্গ করতেই বুড়ির মুখটা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল|


34. “মাথায় টুপিও পরেছে কেউ কেউ।”— কখন, কাদের মাথায় টুপি দেখা গিয়েছিল?

Ans: মৃত বুড়িকে মুসলমান ভেবে ওই সম্প্রদায়ের কিছু লোক তার মৃত দেহকে নদীর তীর থেকে ফিরিয়ে আনছিল। তখনই তাদের কারো কারো মাথায় টুপি দেখা গিয়েছিল।


35. “নিবারণের চ্যাঁচানি বরদাস্ত করবে কেন সে?”—এখানে যার কথা বলা হয়েছে, তার সম্পর্কে এমন উক্তির কারণ কী?          

Ans: করিম ফরাজি একসময় ছিল পেশাদার লাঠিয়াল। সেই কারণেই নিবারণের চেঁচানি সে বরদাস্ত করবে না বলে মনে করা হয়েছে।


Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News


ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুকWhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.