মাধ্যমিকের বাংলা রাজশেখর বসুর বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর - Bangla Bhasay Bigyan by Rajshekhar Basu Questions and Answers

রাজশেখর বসুর বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর: প্রতিবছর মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন (Bangla Bhasay Bigyan by Rajshekhar Basu Questions and Answers Madhyamik Bengali Suggestion) থেকে অনেক প্রশ্ন আসে। তাই আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাধ্যমিক বাংলা সিলেবাসের রাজশেখর বসুর "বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান" র সমস্ত প্রশ্নোত্তর। 

এখানে মাধ্যমিক বাংলা ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর যেমন বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল। যে গুলি পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। নিচে Bangla Bhasay Bigyan by Rajshekhar Basu Questions and Answers  ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধের MCQ, SAQ প্রশ্ন উত্তর গুলি যত্ন সহকারে পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

মাধ্যমিকের বাংলা রাজশেখর বসুর বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর - Bangla Bhasay Bigyan by Rajshekhar Basu Questions and Answers




মাধ্যমিকের বাংলা রাজশেখর বসুর বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর - Bangla Bhasay Bigyan by Rajshekhar Basu Questions and Answers




বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান - রাজশেখর বসু

‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক রাজশেখর বসুর ‘বিচিন্তা’ গ্রন্থ থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য পোস্টে রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (SAQ), সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন এবং রচনাধর্মী প্রশ্নগুলি তুলে ধরা হল।



বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের MCQ প্রশ্নোত্তর (বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর) - Bangla Bhasay Bigyan MCQ Questions and Answers


১. বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধটির লেখক?

(ক) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় 

(খ) জগদীশচন্দ্র বসু 

(গ) রাজশেখর বসু 

(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু

উত্তরঃ (গ) রাজশেখর বসু


২. যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয়, তাদের মোটামুটি ক-টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?

(ক) চারটি 

(খ) পাঁচটি 

(গ) দুটি 

(ঘ) তিনটি

উত্তরঃ (গ) দুটি


৩. একটি নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর কী অঙ্কন করতে হবে?

(ক) সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ 

(খ) বিষমবাহু ত্রিভুজ 

(গ) সমকোণী ত্রিভুজ 

(ঘ) সমবাহু ত্রিভুজ

উত্তরঃ (ঘ) সমবাহু ত্রিভুজ


৪. জলের মতো আর একটি উদ্বায়ী পদার্থ

(ক) আয়োডিন 

(খ) ক্রোটন 

(গ) কপূর 

(ঘ) বেঞ্জিন

উত্তরঃ (গ) কপূর


৫. পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম-

(ক) ভারী 

(খ) হালকা 

(গ) ওজনদার 

(ঘ) মসৃণ

উত্তরঃ (খ) হালকা


৬. লাউ, কুমড়ো জাতীয় গাছে ফুল হয়

(ক) একরকম 

(খ) দু-রকম 

(গ) তিনরকম 

(ঘ) চাররকম

উত্তরঃ (খ) দু-রকম


৭. আজন্ম ইজার পরা লোকের পক্ষে হঠাৎ অভ্যাস করা শক্ত

(ক) ধুতি পরা 

(খ) লুঙ্গি পরা 

(গ) কোট-প্যান্ট পরা 

(ঘ) কোট-প্যান্ট-টাই পরা

উত্তরঃ (ক) ধুতি পরা


৮. কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলন খুব বড়ো নয়?

(ক) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় 

(খ) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় 

(গ) উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় 

(ঘ) কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়

উত্তরঃ (ক) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়


৯. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করে

(ক) ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে 

(খ) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে 

(গ) ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে 

(ঘ) ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ (খ) ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে


১০. ‘প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন’ একটি-

(ক) রাসায়নিক তথ্য 

(খ) রাসায়নিক প্রক্রিয়া 

(গ) রাসায়নিক বস্তু 

(ঘ) উদ্ভিজ্জ বস্তু

উত্তরঃ (গ) রাসায়নিক বস্তু


১১, ‘International’ শব্দটি সমিতি নিযুক্ত করে-

(ক) সর্বজাতীয় 

(খ) সকলজাতিক 

(গ) সর্বস্বজাতীয় 

(ঘ) সার্বজাতিক

উত্তরঃ (ঘ) সার্বজাতিক


১২. বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝার জন্য অবশ্য প্রয়োজন-

(ক) বিজ্ঞানের জ্ঞান 

(খ) বিজ্ঞানের পরিভাষা 

(গ) কিঞ্চিৎ প্রাথমিক বিজ্ঞান 

(ঘ) বিজ্ঞানের সামগ্রিক জ্ঞান

উত্তরঃ (গ) কিঞ্চিৎ প্রাথমিক বিজ্ঞান


১৩. সাধারণে পপুলার বিজ্ঞান বুঝতে পারে-

(ক) এশিয়া ও ইউরোপে 

(খ) ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় 

(গ) ইউরোপে ও আমেরিকায় 

(ঘ) আমেরিকায় ও জার্মানিতে

উত্তরঃ (গ) ইউরোপে ও আমেরিকায়


১৪. “বাংলা প্রতিশব্দেরও ঠিক তাই হওয়া চাই।”—“ঠিক তাই’বলতে বোঝায়?

(ক) অর্থবোধ 

(খ) অর্থবিস্তার 

(গ) অর্থব্যাপ্তি 

(ঘ) অর্থান্তরন্যাস

উত্তরঃ (গ) অর্থব্যাপ্তি


১৫. কোন্ পরিভাষা লিখলে Sensitized Paper’-এর অনুবাদঠিকহবে?

(ক) সুগ্রাহী কাগজ 

(খ) সুসংবেদী কাগজ 

(গ) স্পর্শকাতর কাগজ 

(ঘ) শোষক কাগজ

উত্তরঃ (ক) সুগ্রাহী কাগজ


১৬. “যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই,”—কথাটি যার বদলে লেখা যেতে পারে তা হল?

(ক) শিরহীন

(খ) অমেরুদণ্ডী 

(গ) শিরাবিহীন 

(ঘ) মেরুদণ্ডী

উত্তরঃ (খ) অমেরুদণ্ডী


১৭. পরিভাষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য?

(ক) অর্থ যথাযথ করা 

(খ) অর্থ নির্দিষ্ট করা 

(গ) অর্থ সুনির্দিষ্ট করা 

(খ) অর্থ প্রকাশ করা

উত্তরঃ (গ) অর্থ সুনির্দিষ্ট করা


১৮. আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের কত ধরনের কথা বলেছেন?

(ক) একক 

(খ) ত্রিবিধ 

(গ) দ্বৈত 

(ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (খ) ত্রিবিধ


১৯. “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড’–এই উক্তিটি কার?

(ক) জয়দেবের 

(খ) রূপ গোস্বামীর 

(গ) কালিদাসের 

(ঘ) শ্রীজীব গোস্বামীর

উত্তরঃ (গ) কালিদাসের


২০. অরণ্যে রোদন’কথাটির অর্থ

(ক) নিষ্ফল আবেদন 

(খ) ভূমিকা 

(গ) সংকীর্ণমনা 

(ঘ) দীর্ঘসূত্রতা

উত্তরঃ (ক) নিষ্ফল আবেদন


২১. কোন্ প্রবাদটি প্রমাণ হিসেবে আমাদের সাময়িক প্রশ্নাদিতে পাওয়া যায় ?

(ক) গৌরচন্দ্রিকা 

(খ) অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী 

(গ) ডুমুরের ফুল 

(ঘ) হাতের পাঁচ

উত্তরঃ (খ) অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী



বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - 
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর - Bangla Bhasay Bigyan SAQ Question Answer


১. প্রাবন্ধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের যে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন তার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ প্রাবন্ধিকের ভাগ করা বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের পাঠকদের দুটি শ্রেণি হল—যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে আর যারা ইংরেজি জানে ও ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।

২. “এই শ্রেণিতে পড়ে।”—কারা, কোন শ্রেণিতে পড়ে?

উত্তরঃ অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যারা ইংরেজি জানে বা অতি অল্প জানে তারা প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

৩. “অনেক রকম স্থূল তথ্যও তাদের জানা থাকতে পারে।”—তাদের জানা দুটি স্কুল তথ্যের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ তাদের জানা সম্ভব এমন দুটি স্থূল তথ্য হল—(১) জল আর কপূর উবে যায় এবং (২) পিতলের চেয়ে অ্যালুমিনিয়াম হালকা। (এ ছাড়া তৃতীয়টি হল—লাউ, কুমড়ো জাতীয় গাছে দু-রকম ফুল হয়।)

৪. “তারা কিছুই জানে না।”—কারা, কোন বিষয় জানে না?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিকের মতে উল্লেখিত প্রথম শ্রেণির পাঠক সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কে কিছুই জানে না।

৫. “তাদের সংস্কারের বিরোধী নয়।”—কোন বিষয়, কেন সংস্কারের বিরোধী নয়?

উত্তরঃ বাংলা পরিভাষা আয়ত্ত করে বাংলায় বিজ্ঞান শেখা বিষয় ইংরেজি না-জানা পাঠকদের কাছে সংস্কারের বিরোধী নয়।

৬. “ইংরেজি প্রভাব থেকে মুক্ত।”—কাদের সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে?

উত্তরঃ অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে তাদের সম্পর্কে উদ্ধৃত কথাটি বলা হয়েছে।

৭. “এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি।”—কোন্ কথার মানে বুঝতে কোনো বাধা হয়নি?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিকের ভাষাগত বিরোধী সংস্কার না-থাকায় ব্ৰত্মমোহন মল্লিকের জ্যামিতিতে লেখা, এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কন করতে হবে, কথাটির মানে বুঝতে কোনো বাধা হয়নি।

৮. “অভ্যাস করা একটু শক্ত।”—কার কাছে, কীসের অভ্যাস শক্ত ?

উত্তরঃ আজন্ম ইজার পরা লোকের কাছে হঠাৎ ধুতি পরার অভ্যাস করা একটু শক্ত।

৯. “তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।”—কারা, কোন্ কাজে ‘অনেকে মুশকিলে পড়েছেন’?

উত্তরঃ রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালানোয় সরকারের কাজে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন।

১০. “ভাষার জন্য তার বাধা হয় না।”—কোন কাজে, কাদের বাধা হয় না? তাদের কী করতে হয়?

উত্তরঃ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শেখার কাজে ইংরেজি না-জানা বা অতি অল্প ইংরেজি জানা পাঠকদের বাধা হয় না। তাদের কেবল যত্ন করে বিষয়টি বুঝতে হয়।

১১. “মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়।”—কোন্ সময়, কাদের মাতৃভাষার পদ্ধতি’ আয়ত্ত করতে হয়?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিকের কথা অনুযায়ী ইংরেজি জানা, ইংরেজি ভাষায় কমবেশি বিজ্ঞান পড়া পাঠকেরা যখন বাংলা ভাষায় লেখা বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ পড়ে, তখন তাদের মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হয়।

১২. “এখনও নানারকম বাধা আছে।”—কোন্ বিষয়ে, কেন এখনও বাধা আছে?

উত্তরঃ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার বিষয়ে, পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুলতার জন্য এখনও বাধা আছে।

১৩. “তার ফলে তাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।”—কাদের চেষ্টা, কেন সফল হয়?

উত্তরঃ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির চেষ্টা, একযোগে কাজ করার জন্য অধিকতর সফল হয়।

১৪. “নানা ত্রুটি হতে পারে।”—কীসে, কেন ত্রুটির সম্ভাবনা?

উত্তরঃ পরিভাষা রচনা কোনো ব্যক্তির একার কাজ নয়—যুগ্নকাজ, সেই কাজ একা করতে গেলে অর্থাৎ সমবেতভাবে না-করলে ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে।

১৫. “উপযুক্ত ব্যবস্থা করা আবশ্যক।”—উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা কী?

উত্তরঃ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সংকলিত পরিভাষা বড়ো নয়—আরও শব্দের প্রয়োজন আর এই ব্যাপারেই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা আছে।

১৬. “তারা বিধান দিয়েছেন,”—কারা, কী বিধান দিয়েছেন?

উত্তরঃ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি বিধান দিয়েছেন—নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে।

১৭. “বাংলায় চালানো যেতে পারে।”—প্রাবন্ধিক কী চালানোর কথা বলেছেন?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক নবাগত রাসায়নিক বস্তুর নাম, উদ্ভিদ ও প্রাণীর জাতিবাচক বা পরিচয়বাচক অধিকাংশ ইংরাজি সার্বজাতিক (International) নাম বাংলায় চালানোর কথা বলেছেন।

১৮. “বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।”—কেন?

উত্তরঃ আমাদের দেশের জনসাধারণের প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে কিছুটা পরিচয় না-থাকায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন হয়।

১৯. “সাধারণে সহজেই বোঝে।”—কোনো স্থানের জনসাধারণ কী, কেন সহজে বুঝতে পারে?

উত্তরঃ ইউরোপ ও আমেরিকার জনসাধারণ, সেখানকার পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য হওয়ার কারণে বিজ্ঞান বিষয়ক যে-কোনো সন্দর্ভ সহজে বুঝতে পারে।

২০. “তাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।”—“তাদের লেখা’ কীভাবে জনপ্রিয় হতে পারে?

উত্তরঃ আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভে লেখকদের লেখা যদি প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতো গোড়া থেকে সবার বোধগম্য করে লেখা হয়, তবে তা জনপ্রিয় হতে পারে।

২১. “তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।”—কখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্যরচনা সুসাধ্য হবে? অথবা,তখন’বলতে কোন্ সময়কে বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ কালক্রমে যখন এদেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার হবে এবং সমস্ত অসুবিধা দূর হবে, তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।অথবা, ‘তখন’ বলতে সময়ান্তরে বিজ্ঞান শাখার বিস্তার ও সমস্ত অসুবিধা দূর হওয়ার সময়কে বোঝানো হয়েছে।

২২. ‘রচনাপদ্ধতি’আয়ত্ত করতে না-পারা লেখকদের লেখা সম্পর্কে প্রাবন্ধিকের মত কী?

উত্তরঃ রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না-পারা লেখকদের লেখা সম্পর্কে প্রাবন্ধিক বলেছেন—অনেক স্থানে তাদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যায়।

২৩. “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে,”–‘দোষটি কী?

উত্তরঃ দোষটি হল বিজ্ঞান আলোচনার রচনাপদ্ধতি আয়ত্ত করতে না-পারার কারণে লেখকদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যাওয়া।

২৪. “অনেক লেখক মনে করেন,”—লেখকরা কী মনে করেন?

উত্তরঃ এই লেখকরা মনে করেন–ইংরেজি সব্দের যে অর্থব্যাপ্তি বা Connotation, বাংলা প্রতিশব্দেরও ঠিক তাই হওয়া চাই।

২৫. “ইংরেজি Sensitive শব্দ নানা অর্থে চলে।”—প্রাবন্ধিক ব্যবহৃত অর্থগুলি লেখো।

উত্তরঃ ইংরেজি Sensitive শব্দের প্রাবন্ধিক উল্লেখিত অর্থগুলি হল—Sensitive Person, Wound, Plant, Balance, Photographic Paper ইত্যাদি।

২৬. “এতে রচনা উকট হয়।”—রচনা কীসে উৎকট হয়ে ওঠে?

উত্তরঃ ইংরেজিতে ভাবা বক্তব্যের যথাযথ বাংলা অনুবাদে প্রকাশ করার চেষ্টায় রচনা উৎকট হয়।

২৭. “এরকম মাছিমারা নকল না করে,”–‘মাছিমারা’ নকলটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ When the Sulpher burns in air the Nitrogen does not take part is the reactiori, কথায় ‘মাছিমারা’ নকলটি হল- যখন গন্ধক পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় আশগ্রহণ করে না।

২৮. “লিখলে বাংলা ভাষায় বজায় থাকে।”—কী লেখার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক উল্লেখিত ‘মাছিমারা নকল’ -এর বদলে ‘নাইট্রোজেন কোনো পরিবর্তন হয় না’ লেখার কথা বলা হয়েছে।

২৯. “এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।”—কোন্ ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক নয়?

উত্তরঃ অনেকের মনে করা পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশে রচনা সহজ হয়-ধারণাটি সম্পূর্ণ ঠিক নয়।

৩০. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?

উত্তরঃ পরিভাষার উদ্দেশ্য হল ভাষার সংক্ষেপ এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।

৩১. “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।”—কো কথা সব লেখকের মনে রাখা উচিত?

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা আত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক—এই কথাটি সবসময় লেখকদের মনে রাখা উচিত।

৩২. “কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় দেখেছি”—কে, কী দেখেছিলেন?

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক রাজশেখর বস একটি পত্রিকায় দেখেন জনৈক লেখক লিখেছেন -অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্ব্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকবার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র।

৩৩. “এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।”—ভুল লেখাটি কী?

উত্তরঃ ভুল লেখাটি হল–অক্সিজেন বা হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর বলে বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। তারা জীবের বেঁচে থাকার পক্ষে অপরিহার্য অঙ্গ মাত্র। তবে ওজন গ্যাস স্বাস্থকর।

৩৪. রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম কী?

উত্তরঃ রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম পরশুরাম।

৩৫. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল?

উত্তরঃ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিল ১৯৩৬ সালে।

৩৬. ‘তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে’- কখন?

উত্তরঃ লেখকের মতে, কালক্রমে আমাদের দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার বিস্তার ঘটলে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।

৩৭. ‘এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে…’- কোন দোষের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ভাষার আড়ষ্টতা এবং ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদের প্রবণতা।

৩৮. প্রথমশ্রেণির পাঠকরা যে গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ শিখেছে তাদের নাম উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ পারিভাষিক শব্দগুলি হল টাইফয়েড, আয়োডিন, মোটর, ক্রোটন, জেব্রা।

৩৯. লেখক ছেলেবেলায় ব্রহ্মমােহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি বইয়ে কী পড়েছিলেন?

উত্তরঃ লেখক পড়েছিলেন, “এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার উপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কিত করিতে হইবে।”

৪০. ‘তাঁদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছে।’ – কাদের চেষ্টা সফল হয়েছে।

উত্তরঃ ১৯৩৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন, এখানে সেই সমিতির কথা বলা হয়েছে।

৪১. ‘যতদিন উপযুক্ত ও প্রামাণিক বাংলা শব্দ রচিত না হয়’- ততদিন কী হবে?

উত্তরঃ ততদিন ইংরেজি শব্দ বাংলা বানানে চালানো ভালো বলে লেখক মন্তব্য করেছেন।

৪৩. ‘তাঁদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।’ – কাদের লেখা জনপ্রিয় হবে না?

উত্তরঃ যারা জনসাধারণের জন্য বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা লেখেন, এখানে তাদের কথা বলা হয়েছে।

৪৪. ‘সুগ্রাহী কাগজ লিখলে ভালাে হয়।’- কীসের অনুবাদ সুগ্রাহী কাগজ?

উত্তরঃ Sensitized Paper-এর অনুবাদ হল সুগ্রাহী কাগজ।

৪৫. ‘এতে রচনা উৎকট হয়’ – কীসে রচনা উকট হয়?

উত্তরঃ কোনো লেখক যদি তার বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং তারপর সেটির যথাযথ বাংলা অনুবাদ করে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন, সেই রচনা উৎকট হয়।

৪৬. লেখক কী করাকে ‘মাছিমারা নকল’ বলেছেন?

উত্তরঃ ‘When sulphur burns in air the nitrogen does not take part in the reaction’- এই ইংরেজি বাক্যের বাংলা অনুবাদ যদি এরূপ করা হয়- ‘ যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না’, তবে তা হবে মাছিমারা নকল।

৪৭. ‘এই ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়।’ – কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ অনেকে মনে করেন যে, পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়। লেখকের মতে, এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।

৪৮ “কালিদাসের এই উক্তি কাব্যেরই উপযুক্ত” উক্তিটি কী?

উত্তরঃ উক্তিটি হল, ‘হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড’।

৪৯. ‘এই রকম ভুল লেখা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।’ – কীরকম লেখা?

উত্তরঃ অখ্যাত লেখকের ভ্রান্তিপূর্ণ রচনা সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর। উদাহরণ হিসেবে লেখক কোনো এক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রচনার উল্লেখ করেছেন যাতে বলা হয়েছে যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন স্বাস্থ্যকর নয় বরং ওজন গ্যাস স্বাস্থ্যকর।

৫০. পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?

উত্তরঃ পরিভাষার উদ্দেশ্য ভাষার সংক্ষিপ্ত এবং অর্থ সুনির্দিষ্ট করা।

৫১. লেখক International শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে কোন শব্দ ব্যবহার করেছেন?

উত্তরঃ লেখক International শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে ‘সার্বজাতিক’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

৫২. ‘হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদন্ড’- উক্তিটি কোন কবির?

উত্তরঃ মহাকবি কালিদাসের উক্তি।

৫৩. আলংকারিকগণ শব্দের যে ত্রিবিধ কথা বলেছেন সেগুলি কী কী?

উত্তরঃ অভিধা, লক্ষণা এবং ব্যঞ্জনা।

৫৪. লেখকের মতে ‘Blue print’-এর যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ কী হওয়া উচিত?

উত্তরঃ লেখকের মতে ‘Blue print’-এর যথার্থ বাংলা প্রতিশব্দ হওয়া উচিত নকশা।



বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর - Bangla Bhasay Bigyan Descriptive Questions and Answers

প্রশ্নঃ 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' রচনায় লেখক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা লেখার ক্ষেত্রে কী কী পরামর্শ দিয়েছেন?

উত্তরঃ একাধারে রসায়নবিদ ও লেখক রাজশেখর বসু তাঁর 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' প্রবন্ধে বাঙালি বিজ্ঞান-লেখকদের প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি নিচে আলোচনা করা হলো।

অনুবাদ-বিষয়ক পরামর্শ: রাজশেখর বসু বলেছেন, বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লেখার জন্য লেখকদের যথাযথ অনুবাদের ভাষা সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ইংরেজি ভাষার শব্দের যে অর্থব্যাপ্তি রয়েছে, তা বাংলা শব্দের নেই। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটিমাত্র ইংরেজি শব্দের প্রতিশব্দ রূপে ভিন্ন ভিন্ন বাংলা শব্দ ব্যবহার করা প্রয়োজন। এ ছাড়া বিভিন্ন বাক্যের অনুবাদ করার সময় বাংলা ভাষার মূলগত প্রকৃতি অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

ভাষা-বিষয়ক পরামর্শ: প্রাবন্ধিক বলেছেন যে, বৈজ্ঞানিক রচনার ভাষা হতে হবে সহজ ও স্পষ্ট। শব্দের অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা, এই তিন প্রকার অর্থের মধ্যে অভিধাকেই ব্যবহার করতে হবে। লক্ষণা, ব্যঞ্জনা এবং উৎপ্রেক্ষা, অতিশয়োক্তি প্রভৃতি অলঙ্কার বর্জন করতে হবে। লেখক উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, "হিমালয় পৃথিবীর মানদণ্ড" এ কথা কাব্যের উপযুক্ত হলেও ভূগোলের উপযুক্ত নয়‌

তথ্য-বিষয়ক পরামর্শ: প্রাবন্ধিক লক্ষ করেছেন, বাংলা সাময়িক পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞানবিষয়ক রচনায় অনেক তথ্যগত ভুল রয়ে যায়। এ বিষয়ে সম্পাদককে সতর্ক থাকতে হবে এবং অবিখ্যাত লেখকের রচনা ছাপানোর আগে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে যাচাই করিয়ে নিতে হবে।


প্রশ্নঃ অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা বলতে কী বোঝায়? বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রবন্ধে কোন প্রসঙ্গে লেখক এই কথাগুলি ব্যবহার করেছেন?

উত্তরঃ অভিধা, লক্ষণা ও ব্যঞ্জনা হল শব্দের তিন প্রকার অর্থ। ভাষায় প্রয়োগের ভিত্তিতে এক‌ই শব্দ বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। 

অভিধা: অভিধা হল শব্দের আভিধানিক অর্থ বা সরল অর্থ। অর্থাৎ একটি শব্দের যে অর্থ অভিধানে দেওয়া থাকে, সেটিই ওই শব্দের অভিধা। 

যেমন: চোর শব্দের অভিধা হল তস্কর, আকাশ শব্দের অভিধা গগন। 

লক্ষণা: লক্ষণা বলতে বোঝায় শব্দের এমন অর্থ যা অভিধা অর্থকে সম্পূর্ণ অতিক্রম করে না, অভিধার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিশেষ অর্থ বোঝায়। 

যেমন: 'দেশের লজ্জা' বললে দেশবাসীর লজ্জা বোঝায়। 'মনের মানুষ' বললে বোঝায় মনের মতো বা প্রিয় মানুষ।

ব্যঞ্জনা: ব্যঞ্জনা বলতে বোঝায় শব্দের গূঢ় অর্থ। ব্যঞ্জনা সব সময় অভিধাকে পুরোপুরি অতিক্রম করে গিয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে। প্রবাদ-প্রবচন ও রূপকধর্মী রচনায় ব্যঞ্জনা দেখতে পাওয়া যায়। 

যেমন: 'চোরের মায়ের বড় গলা' বললে 'চোরের মা' বলতে অপরাধী বা অপরাধীর সহকারী বোঝায়।

প্রসঙ্গ: বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা লেখার ক্ষেত্রে শব্দ প্রয়োগ প্রসঙ্গে লেখক শব্দের এই তিন প্রকার অর্থের কথা আলোচনা করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, বৈজ্ঞানিক রচনার ভাষা সহজ সরল হতে হবে। এ জন্য শব্দের অভিধা অর্থ‌ই ব্যবহার করা উচিত। লক্ষণা ও ব্যঞ্জনার ব্যবহার না করাই ভালো।


প্রশ্নঃ 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' প্রবন্ধে লেখক যে দুই শ্রেণির পাঠকের কথা বলেছেন তাদের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু তাঁর 'বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান' প্রবন্ধে বাংলায় লেখা বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের দুই শ্রেণির পাঠকের কথা বলেছেন। প্রথম শ্রেণিটি হল যাঁরা ইংরেজি জানেন না ও ইংরেজি ভাষায় বিজ্ঞান পড়েননি‌। অল্পশিক্ষিত বয়স্ক মানুষ ও অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের লেখক এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করেছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠক হলেন যাঁরা ইংরেজি ভাষা জানেন ও ইংরেজিতে কম-বেশি বিজ্ঞান পড়েছেন। 

উপরোক্ত দুই শ্রেণির পাঠকের কথা মাথায় রেখেই বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক রচনা লেখা হয়ে থাকে। লেখকের মতে প্রথম শ্রেণির পাঠকরা যেহেতু ইংরেজিতে বিজ্ঞান পড়েননি, তাই তাঁদের পক্ষে বাংলায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ পাঠ করা অপেক্ষাকৃত সহজ। অপর দিকে যাঁরা ইংরেজি জানেন ও ইতিপূর্বে ইংরেজিতে কম-বেশি বিজ্ঞান পড়েছেন, তাঁদের পক্ষে নতুন করে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান পাঠ করা কষ্টকর। বাংলায় বিজ্ঞান পড়ার জন্য তাঁদের পূর্বসংস্কার ও ইংরেজির প্রতি পক্ষপাত বর্জন করে ভালোবাসার সঙ্গে মাতৃভাষার পদ্ধতি আয়ত্ত করতে হবে। হঠাৎ করে বাংলায় বিজ্ঞান পড়তে গেলে তাঁদের খটকা লাগবে, পরিভাষাগুলিও অপরিচিত লাগবে। পাশ্চাত্য দেশের ছেলেমেয়েরা যেমন প্রথম থেকে সহজ ভাবে মাতৃভাষায় বিজ্ঞান পাঠ করতে পারে, প্রথম শ্রেণির পাঠকরা সেই ভাবেই বাংলায় বিজ্ঞান পড়তে পারবেন। অপরদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠকদের পক্ষে কাজটি ততটা সহজ নয়।



বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান অতিরিক্ত রচনাধর্মী প্রশ্ন

প্রশ্নঃ “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় এখনও নানা রকম বাধা আছে।”– এই বাধা দূর করতে লেখক কী কী পরামর্শ দিয়েছেন তা আলােচনা করাে। ৫ [মাধ্যমিক ২০১৭]

প্রশ্নঃ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ শীর্ষক প্রবন্ধটিতে পরিভাষা রচনা প্রসঙ্গে লেখক যে বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তা আলােচনা করাে। ৫ [মাধ্যমিক ২০১৮]

প্রশ্নঃ “পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় এদেশের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য।” লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী? ৫ [মাধ্যমিক ২০১৯]

প্রশ্নঃ “বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় এখনও নানারকম বাধা আছে।”- লেখক কোন্ ধরনের বাধার কথা বলেছেন ? ৫ [মাধ্যমিক ২০২০]



Google News এ আমাদের ফলো করুন


Gksolves Google News

ঘোষণা: বিনামূল্যে আমাদের দেওয়া নোটস, সাজেশান, প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি স্টাডি ম্যাটেরিয়াল PDF এবং ভিডিও ক্লাস ভালো লাগলে, আমাদের এই পোস্টের লিংক আপনার বন্ধুদের ফেসবুক, WhatsApp এ শেয়ার করে তাদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.