আকবরের শাসনব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য: Akbars Administrative System Chief Features

আকবরের শাসনব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য: Akbars Administrative System Chief Features

আকবরের শাসনব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য: Akbars Administrative System Chief Features


আকবরের শাসনব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য: Akbars Administrative System Chief Features



প্রশ্ন: আকবরের শাসনব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলােচনা করাে (Describe the chief features of Akbar's Administrative System)


উত্তর: কেবল সমরবিজয়ী নেতা নয়, সুদক্ষ প্রশাসক হিসেবেও সম্রাট আকবরের নাম ভারত-ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। আবুল ফজল তার আইন-ই-আকবরীতে ‘ প্রজাদের সার্বিক উন্নয়ন, রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান, আর্থিক শৃঙ্খলা স্থাপন প্রভৃতিকে ‘ শাসন’ - এর প্রকৃত উদ্দেশ্য বলে বর্ণনা করেছেন। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই আদর্শ দ্বারাই আকবরের শাসননীতি পরিচালিত হয়েছিল। তার শাসনব্যবস্থার প্রকৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে স্যার যদুনাথ সরকার একে, “ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে আরবিক ও পারসিক ব্যবস্থার সংমিশ্রণ” বলে বর্ণনা করেছেন ('The Perso-Arabic system in an Indian setting.') ঐতিহাসিক রিজভি আকবরের শাসনব্যবস্থাকে, “প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় শাসনকাঠামাের যথার্থ সমন্বয়ে ও শের শাহ প্রবর্তিত শাসন কাঠামোের উপর ভিত্তি করে” রচিত বলে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষায় : “ Akbar ' s administra tion .... drew heavily upon the successful experiments of Ancient India and the Delhi Sultanate, and were adopted immediately from Sher Shah's practice” ঐতিহাসিক মিেরল্যান্ড আকবরের শাসনব্যবস্থাকে ভীষণভাবে বাস্তব বলে অভিহিত করেছেন।


❏ সম্রাটের ক্ষমতা: আকবরের শাসনকাঠামােকে একটি কেন্দ্রীভূত রাজতন্ত্র বলা যেতে পারে। শাসনব্যবস্থার সর্বোচ্চে ছিলেন সম্রাট। তার ক্ষমতা ছিল অবাধ ও সীমাহীন। রাজা ‘ দৈব অধিকারী বলে তিনি দাবি করতেন। তবে স্বৈরাচারী হলেও আকবর কখনও স্বেচ্ছাচারী ছিলেন না। তাঁর মতে, রাজার প্রধান কর্তব্য ছিল রাজ্যের নিরাপত্তাবিধান ও সার্বিক উন্নয়ন সাধন। তিনি ছিলেন প্রজাহিতৈষী স্বৈরাচারী রাজা। শাসনব্যবস্থাকে সচল ও কার্যকরী রাখার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন। প্রত্যহ প্রাতে তিনি জনগণকে ‘ ঝরােখা দর্শন ’ দিতেন। এখানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জনগণের অভাব-অভিযােগ শুনতেন। তারপর ' দেওয়ান-ই-আমে ' অনুষ্ঠিত প্রকাশ্য দরবারে উপস্থিত থেকে সম্রাট বিভিন্ন অভিযােগের নিষ্পত্তি করতেন। এর মাঝে বসত মন্ত্রীদের সাথে একান্ত আলােচনা আসর। এখানে তিনি উচ্চপদস্থ মন্ত্রী ও কর্মীদের সাথে প্রশাসনিক বিষয় আলােচনা করতেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মাচার্যদের সাথেও তিনি বিভিন্ন ধর্মতত্ত্ব আলােচনা করতেন। এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে , অপ্রতিহত ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও আকবর ‘ যৌথ-দায়িত্বসম্পন্ন শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন।


❏ কেন্দ্রীয় শাসন: কেন্দ্রীয় শাসনে সম্রাটকে সাহায্য করত কয়েকটি বিভাগ। এইসব বিভাগের দায়িত্বে থাকতেন মন্ত্রীগণ। সম্রাটের পরেই ছিল ‘ ভকিল ’ বা প্রধান রূপরেখা মন্ত্রীর স্থান। তবে ভকিল বৈরাম খাঁ’র বিদ্রোহজনিত অভিজ্ঞতা থেকে আকবর ভকিলের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে সচেতন ছিলেন। ভকিল ছাড়া চারটি প্রধান দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন চার জন মন্ত্রী। এঁরা হলেন,


(১) দেওয়ান বা ওয়াজির


(২) মির বশি


(৩) মির সামান এবং 


(৪) সদর উসুদূর 


রাষ্ট্রের আয়ব্যয়, রাজস্বের হিসাব প্রভৃতি রাখার দায়িত্ব ছিল উজির বা দেওয়ান - এর। তিনি সম্রাটের সাথে পরামর্শক্রমে রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তবে আকবরের সময় উজিরের ক্ষমতা পূর্বের তুলনায় সংকুচিত হয়েছিল। অবশ্য উজির পদে কেবল সম্রাটের বিশ্বাসভাজন ও নিকটজনেরাই নিযুক্ত হতেন। ‘ মির বশি ’ ছিলেন সামরিক বিভাগের মন্ত্রী। পদমর্যাদায় তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি সামরিকবাহিনীর নিয়ােগ, বাতিল, বেতন প্রদান প্রভৃতি বিষয়ে সম্রাটকে পরামর্শ দিতেন এবং সম্রাটের অনুমােদনক্রমে কাজ চালাতেন। সম্রাট কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে গেলে তিনি তাকে সঙ্গ দিতেন। সাম্রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা গুপ্তচরবাহিনী যেসব খবরাখবর সংগ্রহ করতেন, মির বশি গুরুত্ব অনুযায়ী সেগুলি সম্রাটের গােচরে আনতেন। পদমর্যাদা অনুসারে তৃতীয় মন্ত্রী ছিলেন ‘ মির সামান ’। সম্রাট, তার পরিবার-পরিজন বা সরকার পরিচালনার জন্য নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদির উৎপাদন ও বণ্টনে ভারপ্রাপ্ত ছিলেন মির সামান। চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন সদর-উ-সুদূর। ইনি ছিলেন ইসলামধর্মীয় বিষয়াদি ও বিচারবিভাগের সর্বোচ্চ কর্মচারী। ইনি সম্রাটকে মুসলিম আইনের ব্যাখ্যা শােনাতেন দাতব্যকর্ম পরিচালনা করতেন। ইনি প্রধান কাজি হিসেবে কার্যত বিচার পরিচালনা করতেন। ১৫৭৯ খ্রিস্টাব্দে মাহজরনামা ’ ঘােষণার পর এর কর্মদক্ষতা অনেক সংকুচিত হয়ে পড়ে। কারণ এই ঘােষণার দ্বারা সম্রাট স্বয়ং ইসলামি আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারীর ক্ষমতা বা সরকারি দানের ক্ষমতা অধিগ্রহণ করেন। প্রতিটি দপ্তরেই একাধিক সহকারী নিযুক্ত হতেন।


উপরিলিখিত মন্ত্রীগণ ছাড়াও ‘ দারােগা-ই-গুসলখানা ’ , ‘ আরিজ-ই-মুবারক ’ , ‘ মির আরজ প্রভৃতি বহু কর্মী কেন্দ্রীয় শাসনে নিযুক্ত ছিলেন।


❏ প্রাদেশিক শাসন: শাসনের সুবিধার্থে আকবর তার সাম্রাজ্যকে ১৫ টি সুবা বা প্রদেশে বিভক্ত করেন। প্রথম সুবার সংখ্যা ছিল বারাে, পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় আঠারােতে। এ ছাড়া, তার অধীনে বহু স্বায়ত্তশাসিত সামন্তরাজ্য ছিল। প্রতিটি সুবায় প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন সুবাদার। প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তাবিধানের দায়িত্ব ছিল সুবাদারের। তিনি প্রাদেশিক সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। প্রতিটি সুবায় রাজস্ব-সংক্রান্ত বিষয়ে তত্ত্বাবধানের জন্য একজন করে দেওয়ান নিযুক্ত থাকতেন। দেওয়ান তার কাজের জন্য সরাসরি সম্রাটের কাছে দায়ী ছিলেন। দেওয়ান -এর উপর সুবাদারের কোনাে নিয়ন্ত্রণ ছিল না। দেওয়ান রাজস্ব আদায় করে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতেন। আবার কেন্দ্র থেকে প্রদেশের খরচের অর্থ সুবারদের কাছে পাঠানাে হত। এর ফলে সুবাদার ও দেওয়ানের মধ্যে যেমন সংঘাতের সম্ভাবনা ছিল না, তেমনি এদের কারও পক্ষেই ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও ছিল না। রাজস্ব-বিভাগে কর্মচারী নিয়োেগ এবং দেওয়ানি মামলার বিচারও দেওয়ান নিষ্পত্তি করতেন। সুবাদার এবং দেওয়ান ছাড়াও প্রদেশগুলিতে বহু কর্মচারী নিযুক্ত হতেন। যেমন— বকশি , সদর , কাজি , ওয়াকিনবিস প্রমুখ। বকশি সামরিক ও বেসামরিক কর্মীদের বেতন প্রদান করতেন এবং ওয়াকিনবিসদের প্রেরিত সংবাদ সংগ্রহ করে কেন্দ্রে পাঠাতেন। সদর -এর কাজ ছিল সদর-ই-সুদূর -এর কাছে। দাতব্য ও ধর্মীয় বিষয়ে সুপারিশ পাঠানাে। তিনি কাজি বা বিচারকের কাজও করতেন। ওয়াকিনবিস সংবাদ সংগ্রহ করতেন এবং মির বাহার সামুদ্রিক ক্রিয়াকলাপ ও নদীপথ তত্ত্বাবধান করতেন। কোতােয়াল নামক কর্মচারী পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন। এককথায় কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দপ্তরের অধীনে থেকে প্রাদেশিক দপ্তরগুলি কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে প্রদেশে কাজ করতেন।


❏ স্থানীয় শাসন: প্রতিটি সুবা কতকগুলি সরকার রা জেলায় বিভক্ত ছিল। ফৌজদার, আমালগুজার, বিতিচি, খাজনাদার, কোতােয়াল, কাজি প্রমুখ ছিলেন জেলায় প্রশাসনিক প্রধান। আইনশৃঙ্খলার তত্ত্বাবধানের সঙ্গে সঙ্গে তিনি যুদ্ধের প্রয়ােজনে সামরিকবাহিনী পরিচালনা করতেন। তিনি মূলত ছিলেন সামরিক কর্মচারী। আমাল গুজারের কাজ ছিল রাজস্ব আদায় করে কেন্দ্রে পাঠানাে। তা ছাড়া, কৃষকদের ঋণদান ও তা আদায় করার কাজও তিনি করতেন। তাকে সাহায্য করতেন বিতিচি। জমি জরিপ ও কর-সংক্রান্ত কাগজপত্র বিতিচি তৈরি করতেন। খাজনাদার ছিলেন কোষাধ্যক্ষ। তিনি আয়ব্যয়ের হিসাব করতেন।


প্রতিটি সরকার বা জেলা কতকগুলি পরগনা ও মহকুমায় বিভক্ত ছিল। শিকদার পরগনার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা, বিচার ও সাধারণ প্রশাসনের কাজ দেখতেন। আমিল পরগনার রাজস্ব নির্ধারণ, জরিপ, রাজস্ব আদায় প্রভৃতি কাজ দেখাশােনা করতেন। ফোতদার ছিলেন পরগনার কোষাধ্যক্ষ। কানুনগাে এবং কারকুনও রাজস্ব - সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভাগ দেখতেন। তবে জেলাস্তরের কর্মচারীদের প্রধান কাজ ছিল রাজস্ব আদায়। পার্সিভ্যাল ম্পিয়ার তাই মন্তব্য করেছেন, “ গ্রামবাসীর কাছে সরকার ছিল মাত্র একটি রাজস্ব আদায়কারী সংস্থা ...। ”


❏ রাজস্ব-শাসন: আকবরের আমলে সরকারি আয়ের প্রধান উৎস ছিল ভূমি রাজস্ব। রাজস্ব সংস্কারক রূপে আকবরের নাম বিশেষ উল্লেখযােগ্য। রাজস্ব সংস্কারে তিনি টোডরমল, শাহ মনসুর প্রভৃতি রাজস্ববিদদের সহযােগিতা লাভ করেন। টোডরমলের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে আকবরের রাজস্ব-শাসনের মূল নীতি নির্ধারিত হয়েছিল। এই ব্যবস্থা অনুসারে প্রথমে সমস্ত জমিকে জরিপের ব্যবস্থা করা হয়। অতঃপর উর্বরতা অনুসারে জমিগুলিকে চারভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন — পােলজ, পারাউতি, চাচর এবং ব্যঞ্জর। যে জমিতে প্রতি বছর ফসল উৎপাদন হত, তাকে বলা হত ‘ পােলজ ' পারাউতি ' ছিল সেইসব জমি, যেগুলিকে উৎপাদনের পর দু-এক বছর পতিত রাখতে হত। তিন বা চার বছর অন্তর ফসল দেওয়া জমি ছিল ‘ চাচর ’ এবং পাঁচ বা আরও বেশি। বছর অন্তর ফসল হত যে জমিতে তাকে বলা হত ' ব্যঞ্জর ’। প্রথম তিন শ্রেণির জমিকে আবার উৎকৃষ্ট, মাঝারি এবং নিকৃষ্ট — এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হত। এই তিন শ্রেণির উৎপাদনের গড়ের এক-তৃতীয়াংশে রাজস্ব হিসেবে ধার্য করা হত। রাজস্ব উৎপন্ন ফসলে কিংবা নগদ অর্থে দেওয়া যেত। টোডরমলের এই ব্যবস্থা ‘ জাবত ’ পদ্ধতি নামে পরিচিত। মুলতান, গুজরাট, বিহার, মালব ও রাজপুতানার একাংশে এই রাজস্ব-পদ্ধতি প্রচলিত ছিল।


‘জাব - পদ্ধতি ছাড়াও ‘ গল্লাবস ও নস্ক ’ পদ্ধতিতে রাজস্ব আদায় করা হত। গল্লাব ব্যবস্থায় শস্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজস্বরূপে গৃহীত হত। সিন্ধু , কাশ্মীর ও কাবুলে এই ব্যবস্থা চালু ছিল। গাল্লাবস তিন রকমের ছিল , যেমন রসিবাটাই (শস্য কাটা পর ভাগাভাগি) , ক্ষেতবাটাই (বীজ বপনের পর জমি ভাগ) এবং ল্যাক্স বাটাই (উৎপাদিত শস্যের এক তৃতীয়াংশ)। ' নসক ' পদ্ধতি অনেকটা জমিদারি ব্যবস্থার মতাে ছিল। মােটামুটি অনুমানের উপর নির্ভর করে একটা রাজস্ব নির্ধারণ করা হত। আধুনিক পণ্ডিতেরা ' নসক ' পদ্ধতিকে কোনাে বিশেষ পদ্ধতি না বলে রাজস্বের পরিমাণ বলে অভিহিত করার পক্ষপাতী। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশে চালু ছিল।


❏ মনসবদার: আকবরের শাসনব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ ছিল মনসবদারগণ। আকবর জায়গিরব্যবস্থা তুলে দিয়ে নগদ অর্থে বেতনের ব্যবস্থা করেন। মনসবদারগণ পদমর্যাদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক অশ্বারােহী সৈন্য সরকারি খরচে রাখতেন এবং প্রয়ােজনে ওই বাহিনী নিয়ে সম্রাটকে সাহায্য করতেন। কেবল যােগ্যতার ভিত্তিতেই মনসবদার নিযুক্ত হতেন। মনসবদার ছাড়াও আকবরের আহদী নামক নিজস্ব সেনাবাহিনী ছিল। পদাতিক, গােলন্দাজ, নৌবাহিনীসহ এক বিরাট এবং সুদক্ষ ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী আকবরের হাতকে শক্ত করেছিল।


❏ নিরপেক্ষতা: আকবরের শাসননীতির মৌল বৈশিষ্ট্য ছিল সার্বিক নিরপেক্ষতা। ধর্ম বা জাতি বৈশিষ্ট্য প্রশাসনের ক্ষেত্রে ছিল গুরুত্বহীন। জাতিধর্মনির্বিশেষে সকলের জন্য তিনি ন্যায়বিচার প্রণয়ন করেন। শাসনপদে নিয়ােগের ক্ষেত্রেও কঠোর নিরপেক্ষতা অনুসরণ করেন।


এইভাবে আকবর এমন এক শাসনকাঠামাে গড়ে তুলেছিলেন, যা ছিল দক্ষ এবং সচল ও কার্যকরী। শের শাহ প্রবর্তিত শাসনব্যবস্থা আকবরের পথপ্রদর্শক হলেও, স্বকীয় দক্ষতায় তিনি একে বৃহত্তর ও মহত্তর প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।


কপিরাইট: Gksolves.com এর অনুমতি ছাড়া কোনো অংশ কপি করে অন্য কোনও ওয়েবসাইটে বা ব্লগে ব্যবহার করা অথবা অন্য কোনো উপায়ে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো কারনে লেখার অংশ প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, উপযুক্ত লিঙ্ক সহ সম্পূর্ন সূত্র দিয়ে কপি করার অনুরোধ করা হল। অন্যথায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো। আপনি কেবলমাত্র পড়াশোনার জন্য আপনার বন্ধু ও আত্মীয়দের হােয়াটসঅ্যাপ টেলিগ্রাম বা ফেসবুক ইত্যাদি প্লাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন এমনকি প্রিন্ট ও করতে পারেন তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।

আমাদের কথা: যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর বা বানান ভুল থাকে, এই ভুল আমাদের অনিচ্ছাকৃত এর জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী। সঠিকটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান আমরা পরবর্তী ক্ষেত্রে আপডেট করে দেব।


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.